শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার গুণতিলকা জামিন পেলেন। ফাইল ছবি
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় গ্রেফতার হয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার দানুষ্কা গুণতিলকা। অবশেষে তিনি জামিন পেলেন। সিডনির একটি আদালত তাঁকে জামিন দিয়েছে। আদালত জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কার সরকার এবং সে দেশের ক্রিকেট সংস্থা গুণতিলকার পাশে দাঁড়ানোর কারণেই জামিন দেওয়া হয়েছে তাঁকে। ২ লক্ষ অস্ট্রেলিয়ান ডলারের বিনিময়ে জামিন পেয়েছেন গুণতিলকা। তবে এখনই দেশে ফিরতে পারবেন না তিনি।
ইংল্যান্ডের কাছে হারের দিন ভোররাতে সিডনির হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয় গুণতিলকাকে। পর দিন তাঁকে ছাড়াই দেশে ফেরে গোটা দল। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের চারটি ক্ষেত্রে অভিযোগ আনা হয়েছে। অনুমতি ছাড়াই শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া ছাড়াও অভিযোগকারী মহিলার গলা টিপে ধরেছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
গত ৭ নভেম্বর গুণতিলকার জামিন নাকচ হয়ে যায়। ১১ রাত জেলে কাটানোর পর বৃহস্পতিবার আবার স্থানীয় আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছে আদালত। ভিডিয়ো লিঙ্কের মাধ্যমে পার্কলি সংশোধনাগার থেকে হাজির হন গুণতিলকা। আদালতে তাঁর আইনজীবী মুরুগান থঙ্গরাজ ব্যাপক লড়াই করেন। তিনি জানান, অতীতে কোনও দিন গুণতিলকার নামে কোনও পুলিশি রেকর্ড নেই। তাঁর পাশে দেশের সরকার রয়েছে। ওই মহিলা গলা টেপার যে অভিযোগ করেছিলেন, তারও কোনও সারবত্তা খুঁজে পায়নি পুলিশ। মহিলার শারীরিক নির্যাতনের স্বপক্ষে কোনও চিহ্নও পাওয়া যায়নি।
তবে জামিন পেলেও বেশ কিছু শর্ত মানতে হবে গুণতিলকাকে। প্রতি দিন থানায় হাজিরা দিতে হবে। অভিযোগকারী মহিলার সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ করা চলবে না। কোনও রকম ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে না। আগামী ১২ জানুয়ারি আবার আদালতে শুনানি রয়েছে।
গত ৭ নভেম্বর শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড একটি বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ‘‘আইসিসি আমাদের জানিয়েছে, এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে আমাদের ক্রিকেটার গুণতিলকাকে গ্রেফতার করেছে সিডনি পুলিশ। ক্রিকেট শ্রীলঙ্কা বিষয়টির দিকে নজর রাখছে। আইসিসির সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে চলা হচ্ছে। আশা করব যথাযথ তদন্ত হবে। অভিযুক্ত ক্রিকেটার সত্যিই অপরাধ করে থাকলে, তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।’’
গুণতিলকাকে গ্রেফতারের পর নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘‘একটি ডেটিং অ্যাপে যোগাযোগের পর ২৯ বছরের এক মহিলার সঙ্গে এক জন পুরুষ দেখা করেছিলেন। মহিলার অভিযোগ, গত ২ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় ওই ব্যক্তি তাঁকে যৌন নিগ্রহ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। পুলিশ বিভাগের অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।’’