সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।
আর কয়েক দিনের বিশ্রাম। আইপিএল এগিয়ে আসতে শুরু করলেই তাঁরও ব্যস্ততা বাড়তে থাকবে। দিল্লি ক্যাপিটালসের মেন্টর তিনি। দলের সাফল্য নির্ভর করবে তাঁর মস্তিষ্কের উপরেই। তবে শহরে থাকলেও ব্যস্ততা কমেনি একটুও। বিভিন্ন কাজে দৌড়ঝাঁপ করতে হচ্ছে। তার ফাঁকেই শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বললেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে যেমন আত্মজীবনী লেখার প্রসঙ্গ রয়েছে, তেমনই ভারতীয় ক্রিকেট বা বাংলার ক্রিকেটের পর্যালোচনাও রয়েছে। সেই কথাবার্তা তুলে ধরল আনন্দবাজার অনলাইন।
বিরাট-রোহিতের পর কাদের হাতে ব্যাটন: আমার কাছে সব ফরম্যাটের ক্রিকেটার হচ্ছে যশস্বী জয়সওয়াল। ঋষভ পন্থ যখন ফিট হয়ে আসবে তখন ও-ও থাকবে। হয়তো কোহলির পর সেরা ব্যাটারও হতে পারে। শ্রেয়স আয়ার, শুভমন গিলকে আরও বেশি টেস্ট ক্রিকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। ভারতীয় ক্রিকেটে অনেক প্রতিভা রয়েছে। রিঙ্কু সিংহকে টি-টোয়েন্টিকে ক্রিকেটে ভাল লাগে। সূর্যকুমার যাদব রয়েছে। সময়ই বলবে কে বিরাট-রোহিতের জায়গা। এত দ্রুত হয় না। ১৬-১৭ বছর লাগে।
ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ় নিয়ে: সিরিজ় ভারতই জিতবে। সেটা ৪-০ না ৫-০ তা সময় বলবে। প্রতিটি টেস্টেই ফল পাওয়া যাবে। ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ২৪৬ করেছে। এত কম রান করে ভারতকে হারানো যাবে না। ওদের কাছে এটা কঠিন সিরিজ়। ওই সময়ে অস্ট্রেলিয়া ছাড়া ভারতে এসে কেউ ভাল করে খেলতে পারেনি।
আত্মজীবনী প্রসঙ্গে: এখনও আত্মজীবনী লিখিনি। তবে বায়োপিকের কাজ চলছে। শুটিং শুরু হওয়ার কথা। বছরের শেষে বা পরের বছরের শুরুতে রিলিজ় হতে পারে। সেটা তো আত্মজীবনীই। তবে লেখার সময় শেষ হয়ে যায়নি। খেলার পরেও অনেক কিছু হয়েছে। আসলে সময়ই পাই না। এত কাজে ব্যস্ত। খেলার সময়ে শুধু খেলতাম। এখন অনেক বেশি কাজ।
বাজ়বল প্রসঙ্গে: বাজ়বল হল টেস্ট ক্রিকেটে গতিতে খেলা। যে উইকেটে স্পিন করছে সেখানে সহজ নয় এই ধরনের খেলা। ভাল উইকেটে হতেই পারে। ভারতের পরিস্থিতি, স্পিনারদের মান অনেক ভাল।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: ভারতের সুযোগ ভালই। সবে একটা বিশ্বকাপ খেলে উঠেছে। দুর্ভাগ্যবশত ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে গেল। আমি আশা করিনি। এত ভাল খেলল গোটা প্রতিযোগিতায়। তবে ক্রিকেটে এমন হতেই পারে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের পিচ ভারতের মতোই। আশা করি ওখানে ভারতের সুযোগ থাকবে। আইপিএল ভারতের কাছে প্রস্তুতির দারুণ সুযোগ।
বাংলার ক্রিকেটে এখনও কেন অনুষ্টুপ-মনোজই হাল ধরছেন: খেলছে তো। অনুষ্টুপ দুর্দান্ত খেলছে। বাংলা ক্রিকেটে ওর অবদান কখনও ভোলা যাবে না। ও হল ওয়াইনের মতো। যত পুরনো হবে তত স্বাদ ভাল। মনোজ তিওয়ারি ১০ হাজার রান করল। অসাধারণ কৃতিত্ব। অভিষেক পোড়েলও ভাল খেলছে। অভিমন্যু ঈশ্বরণ রয়েছে। আবহাওয়ার জন্য ভাল খেলতে পারেনি আগের ম্যাচগুলোতে। অনেক ভাল ক্রিকেটার রয়েছে। আকাশ দীপ, মুকেশ কুমার এখন ভারতীয় দলে খেলছে। শাহবাজ় আহমেদ তো চোটের জন্য খেলতে পারছে না। আগে ভাল খেলছে। মহম্মদ শামির ভাই আছে। আমি দেখিনি ওকে। আশা করি।
ধারাভাষ্যে কি দেখা যাবে: এখন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সময় পাই না। খুব ভাল লাগত করতে। ধারাভাষ্যের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল যাতায়াত। এখন আর এত যাতায়াত করতে চাই না। আমি আইপিএলে একটা দলের সঙ্গে যুক্ত। ওদের দক্ষিণ আফ্রিকা লিগের দল এবং মেয়েদের দলটাও দেখি। প্রচুর সময় যায় তাতে। টিভিতে কাজ করি। বিজ্ঞাপনে কাজ করি। এখন স্টিল প্ল্যান্ট হচ্ছে। সময় কোথায়?
ইস্টবেঙ্গলের জন্য শুভেচ্ছা: ওদের জন্য শুভেচ্ছা। আশা করি তারা জিতবে। হারিয়ে দেবে আশা করছি।