ছেলে অর্জুনের সঙ্গে সচিন। ছবি: আইপিএল।
গত আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে অভিষেক হয়েছে অর্জুন তেন্ডুলকরের। রোহিত শর্মার দলের হয়ে চারটি ম্যাচ খেলে ৩টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে অভিষেক ম্যাচের আগে গা ঘামানোর সময় ছেলেকে কিছু পরামর্শ দিয়েছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। কী পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি ছেলেকে? এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন সচিন নিজেই।
সুযোগ পেলেই দেশ-বিদেশের ক্রিকেটাররা তাঁর কাছে পরামর্শ নেন। ব্যাটার হোক বা বোলার কেউই সচিনের পরামর্শ নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেন না। প্রাক্তন ক্রিকেটারের পরামর্শ সব থেকে বেশি পাওয়ার সুযোগ তাঁর ছেলে অর্জুনের। বাঁহাতি জোরে বোলার ছেলেকেও প্রয়োজন মতো পরামর্শ দেন সচিন। আইপিএলে অভিষেকের আগেও সচিনকে দেখা গিয়েছিল ছেলে অর্জুনকে পরামর্শ দিতে। কী বলেছিলেন ছেলেকে? সচিন জানিয়েছেন, তিনি অর্জুনের জন্য এমন একটা পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করেছিলেন, ঠিক যেমন তাঁর খেলোয়াড়জীবনে তাঁর বাবা তৈরি করার চেষ্টা করতেন।
সচিন বলেছেন, ‘‘আমার জন্য যে রকম পরিবেশ তৈরি করতেন বাবা, ঠিক তেমনই তৈরি করার চেষ্টা করেছিলাম অর্জুনের জন্য। অর্জুনকে বলেছিলাম, যখন তুমি নিজের পারফরম্যান্সে খুশি হতে পারবে, তখন ক্রিকেটপ্রেমীরাও তোমার প্রশংসা করবেন। তুমি শুধু নিজের খেলায় মন দাও। বাবাও আমাকে ঠিক এ কথাই বলতেন।’’
অর্জুনের প্রথম ম্যাচে সচিনকে মুম্বইয়ের ডাগ আউটে দেখা যায়নি। তিনি নিজেকে সাজঘরে বন্দি রেখেছিলেন। কারণ হিসাবে সচিন আগে বলেছিলেন, ‘‘চাইনি অর্জুনের উপর কোনও বাড়তি চাপ তৈরি হোক। এত বড় মঞ্চে প্রথম খেলছে। বল করার সময় স্টেডিয়ামের জায়ান্ট স্ক্রিনে বার বার আমাকে দেখালে ওপর উপর চাপ তৈরি হতে পারত। তাতে পারফরম্যান্স খারাপ হতে পারত। তাই আমি সাজঘরে চলে গিয়েছিলাম। যাতে ও স্বাভাবিক ভাবে খেলতে পারে। তা ছাড়া অর্জুনের কোনও ম্যাচই দেখতে যাই না আমি।’’
সচিন জানিয়েছেন অর্জুনকে ক্রিকেট নিয়ে বেশি পরামর্শ দেন না কখনও। যেটুকু দরকার সেটুকুই দেন। শুধু বলেন ক্রিকেটকে ভালবাসতে। তা হলেই ক্রিকেট অনেক কিছু ফিরিয়ে দেবে। সচিন বলেছেন, ‘‘অবসর নেওয়ার সময় সংবাদমাধ্যমকে অনুরোধ করেছিলাম, অর্জুনকে ওর বেশি বিরক্ত না করতে। প্রয়োজনীয় সময় দিতে। বলেছিলাম, অর্জুনকে আগে ক্রিকেটের প্রেমে পড়তে দিন। সাংবাদিকেরা ওকে সেই সুযোগ দিয়েছেন। তাই সংবাদমাধ্যমকে ধন্য়বাদ জানাতে চাই।’’ আইপিএলে অর্জুনের পারফরম্যান্সে সচিন খুশি হলেও জানাতে ভোলেননি, এখনও অনেক পথ যেতে বাকি।