রোহিত শর্মা। —ফাইল চিত্র।
সবে শেষ হয়েছে বিশ্বকাপ ফাইনাল। প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ রোহিত শর্মার মুখ থমথমে। ছলছল করছে চোখ। শূন্য দৃষ্টিতে শরীরটাকে বয়ে বেড়াচ্ছেন মাঠে। টেলিভিশনের স্ক্রিন জুড়ে তখন ভারত অধিনায়কের মুখ। তা দেখে আবেগ সামলাতে পারেননি তাঁর স্ত্রী রীতিকা সাজদেহ।
গোটা প্রতিযোগিতায় দাপুটে ক্রিকেট খেলা ভারতীয় দল ফাইনালে ৬ উইকেটে হারার পর নিজেকে সামলাতে পারলেন না রোহিত। প্রকাশ্যেই প্রায় কেঁদে ফেললেন রোহিত। নিজের আবেগ সামলানোর চেষ্টা করেও পারলেন না। হয়তো তাঁর হাউ হাউ করে কাঁদতে ইচ্ছা করছিল। কিন্তু সেনাপতিকে তো ভেঙে পড়তে নেই! তিনি নিজেকে সামলাতে না পারলে জুনিয়র সতীর্থদের কে সামলাবেন? অধিনায়ক হওয়ার অনেক জ্বালা। তিনিও তো রক্ত-মাংসের মানুষ। আবেগহীন তো নন। একটা হারে এত দিনের পরিশ্রম, সাধনা সব জলে গেল! চেষ্টা করেও সামলাতে পারেননি নিজেকে। মাঠেই প্রায় কেঁদে ফেলেন রোহিত। অধিনায়কের মুখ দেখে ভিআইপি বক্সে বসে চোখের জল আটকাতে পারেননি রীতিকাও। টেলিভিশনের স্ক্রিনে তখন দু’জন পাশাপাশি। স্বামী-স্ত্রী ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। দু’জনের চোখেই জল। স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা।
ভাইরাল হওয়া রোহিত-রীতিকার কান্নার ছবি। ছবি: সংগৃহীত।
গোটা প্রতিযোগিতায় দাপুটে ক্রিকেট খেলা ভারতীয় দলের ফাইনালে ৬ উইকেটে হার। বিশ্বাস হচ্ছিল না তখনও। সমর্থকদের নয়। ক্রিকেটারদের তো নয়-ই। তিল তিল গড়ে তোলা একটা স্বপ্ন এ ভাবে শেষ হয়ে গেল। রোহিতের পৃথিবী হয়তো তখন শূন্য। মাথা নিচু করে মাঠ থেকে বেরিয়ে আসছেন অধিনায়ক। দু’জনের এই ছবি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হতে সময় লাগেনি।
বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের পারফরম্যান্স নিয়ে যত আলোচনা হয়েছে, ফাইনালের পারফরম্যান্স নিয়ে তত সমালোচনাও হয়েছে। পেশাদার ক্রিকেটারেরা প্রশংসা, সমালোচনা নিয়ে খুব বেশি ভাবেন না। তবে তাঁরা ভাবাতে পারেন। আবেগে ভাসাতে পারেন। তাঁদের চোখের জল কয়েক মুহূর্তের জন্য থমকে দিতে পারে ক্রিকেট জনতাকে। যেমন রবিবার পেরেছেন রোহিত। জীবনের ২২ গজের সঙ্গী রীতিকাই শুধু ছিলেন পাশে।