রবিচন্দ্রন অশ্বিন। —ফাইল চিত্র।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বাদ পড়া দেখে অনেকেই অবাক। ভারত ম্যাচ হেরে যাওয়ায় আরও অনেক বেশি কথা হচ্ছে দল নির্বাচন নিয়ে। কিন্তু অশ্বিনকে নিয়ে যাবতীয় আলোচনা হলেও তিনি নিজে চুপ ছিলেন। ম্যাচ চলাকালীন দ্বাদশ ব্যক্তি হিসাবে দেখা গিয়েছে তাঁকে। মাঠে জল নিয়ে গিয়েছেন। প্রয়োজনে রোহিত শর্মাকে পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু মুখ খোলেননি। ম্যাচ শেষ হওয়ার পরে লিখলেন। টুইট করে জানালেন যে, ম্যাচ হেরে তিনি হতাশ।
অশ্বিন টেস্টে আইসিসির ক্রমতালিকায় এক নম্বরে থাকা বোলার। ওভালের পিচে ঘাস এবং প্রথম দিনের মেঘলা আকাশ দেখে ভারতীয় অফ স্পিনারকে দলের বাইরে রেখে নামার সিদ্ধান্ত নেন রোহিত। তাঁর সেই সিদ্ধান্ত দেখে অনেকেই অবাক হয়ে যান। টেস্ট ক্রিকেটে অশ্বিনই প্রথম স্পিনার যিনি ২০০-র বেশি বাঁহাতি ব্যাটারকে আউট করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার যে দল বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলেছিল সেখানে প্রথম একাদশে পাঁচ জন বাঁহাতি ব্যাটার ছিলেন। তার পরেও অশ্বিনকে দলে রাখা হয়নি।
ম্যাচ হারের পর রবিবার টুইট করে অশ্বিন লেখেন, “বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়াকে শুভেচ্ছা। হতাশ লাগছে হেরে যাওয়া দলের সদস্য হয়ে। যদিও গত দু’বছরে আমরা অনেক পরিশ্রম করেছি, সেই কারণেই এত দূর পর্যন্ত আসতে পেরেছি। অনেকে অনেক কথা বলছেন। কিন্তু আমি মনে করি আমার যে সতীর্থেরা খেলেছে, তাদের এবং কোচদের সাধুবাদ জানানো উচিত।”
অশ্বিনের বাদ পড়া দেখে অবাক হন সচিন তেন্ডুলকর। বাঁহাতি ব্যাটারদের বিপক্ষে অশ্বিনের সাফল্য রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া দলে একাধিক বাঁহাতি ব্যাটার থাকার পরেও অশ্বিনকে বাদ দেওয়া হয়। সচিন টুইট করে লেখেন, “প্রথম একাদশ থেকে অশ্বিনের বাদ পড়া দেখে আমি অবাক। কোনও কারণ বুঝতে পারছি না। বিশ্বের এক নম্বর বোলার ও। আমি আগেও বলেছিলাম যে, সফল স্পিনাররা কখনও পিচ থেকে সাহায্য পাওয়ার দিকে তাকিয়ে বসে থাকেন না। বাতাসে বল ড্রিফট করাতে পারে তারা। বাউন্স কাজে লাগাতে পারে। এটা ভুললে চলবে না যে, অস্ট্রেলিয়া দলে পাঁচ জন বাঁহাতি ব্যাটার ছিল।”
অশ্বিন শুধু বল হাতে নয়, ব্যাট হাতেও দলকে সাহায্য করতে পারেন। ৯২টি টেস্ট খেলা অশ্বিনের পাঁচটি শতরানও রয়েছে। ৩১২৯ রান করেছেন তিনি। ওভাল টেস্টে ভারতের প্রথম দিকের ব্যাটাররা যখন ব্যর্থ হয়েছেন, তখন লোয়ার অর্ডারে অশ্বিন থাকলে বাড়তি সুবিধা পেতে পারত ভারত। কিন্তু তাঁকে দলে না নেওয়ায় দলের সেই ভারসাম্যটাই রইল না।