(বাঁ দিকে) বরুণ চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা বলছেন গৌতম গম্ভীর। রবি শাস্ত্রী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
তখন সবে খেলা শেষ হয়েছে। গোয়ালিয়রে মাঠে দাঁড়িয়ে বরুণ চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা বলছিলেন গৌতম গম্ভীর। পাশে ছিলেন ভারতের বোলিং কোচ মর্নি মর্কেলও। বরুণকে গম্ভীর কী বলছিলেন তা শুনতে না পাওয়া গেলেও বুঝে ফেললেন রবি শাস্ত্রী। ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় তিনি জানিয়েও দিলেন সে কথা।
গম্ভীরকে বরুণের সঙ্গে কথা বলতে দেখে শাস্ত্রী বলেন, “আপনারা দেখতে পাচ্ছেন বরুণকে। গম্ভীরের সঙ্গে ও কথা বলছে। বরুণ ৩ উইকেট নিয়েছে। গৌতম অবশ্য জাতীয় দলের বাইরেও কেকেআরের হয়ে বরুণকে অনেক কাছ থেকে দেখেছে।”
তার পরেই কোচ ও ক্রিকেটারের মধ্যে কথোপকথন বোঝার চেষ্টা করেন শাস্ত্রী। ভারতের প্রাক্তন কোচ বলেন, “গম্ভীর নিশ্চয় বরুণকে বোঝাচ্ছে কোন গতিতে বল করা উচিত। বা কোথায় ফিল্ডার রেখে কোন পরিকল্পনা করে বল করা উচিত। ওখানে ভারতের বোলিং কোচ মর্কেলও ছিল। নিশ্চয়ই ওদের মধ্যে বরুণের বোলিং নিয়েই কথা হচ্ছে।”
আইপিএলের গত মরসুমে কেকেআরের হয়ে সবচেয়ে বেশি ২১টি উইকেট নিয়েছিলেন বরুণ। দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় কেকেআরের মেন্টর ছিলেন গম্ভীর। তিনি ভারতীয় দলের কোচ হওয়ার পরে টি-টোয়েন্টি দলে প্রত্যাবর্তন হয়েছে বরুণের। প্রত্যাবর্তনেই নজর কেড়েছেন তিনি। এই সাফল্যের নেপথ্যে তাঁকে কত পরিশ্রম করতে হয়েছে, ম্যাচ শেষে তা জানিয়েছেন বরুণ। বরুণ বলেন, “আমি আগে সাইড স্পিন করতাম। কিন্তু এখন তা বদলেছি। এখন আমি ওভার স্পিন করি। আমার বলের ধরন বদলেছে। আমার নিয়ন্ত্রণ এখন আগের থেকে অনেক ভাল। তাই আমার বল খেলতে ব্যাটারের সমস্যা হয়।”
তবে এক দিনে এই পরিবর্তন হয়নি। তার জন্য দু’বছর সময় লেগেছে তাঁর। দীর্ঘ অনুশীলেনর ফল পেয়েছেন বরুণ। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলা স্পিনার বলেন, “দেখে মনে হয় এ আর এমন কী বদল! কিন্তু সেটা করতেই আমার দু’বছরের বেশি সময় লেগেছে। শুরুতে তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগ ও আইপিএলে নতুন ভাবে বল করা অনুশীলন করেছি। এখন রপ্ত হয়ে গিয়েছে।”