রবিবার ইডেন গার্ডেন্সে বাংলাকে হারিয়ে রঞ্জি ট্রফি জিতেছে সৌরাষ্ট্র। ম্যাচের পর সেই ট্রফি পুজারাকে উৎসর্গ করলেন উনাদকাট। ছবি: পিটিআই
দিল্লিতে শততম টেস্টে খেলতে নেমেছিলেন তিনি। প্রথম ইনিংসে শূন্য করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের রান এসেছে তাঁরই ব্যাট থেকে। সেই ম্যাচ চলাকালীনই কলকাতা থেকে উপহার পেয়ে গেলেন চেতেশ্বর পুজারা। সেই উপহার দিলেন তাঁরই রাজ্য দলের সতীর্থ জয়দেব উনাদকাট। রবিবার ইডেন গার্ডেন্সে বাংলাকে হারিয়ে রঞ্জি ট্রফি জিতেছে সৌরাষ্ট্র। ম্যাচের পর সেই ট্রফি পুজারাকে উৎসর্গ করলেন উনাদকাট।
ম্যাচের পর উনাদকাট বলেন, “এই জয় একজনকেই উৎসর্গ করছি। সৌরাষ্ট্রের সবচেয়ে ভাল ক্রিকেটার চিন্টুকে, যাকে আপনারা চেতেশ্বর নামেই চেনেন। ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শততম টেস্ট খেলছে। কিন্তু রঞ্জি ম্যাচ নিয়েও ও প্রচণ্ড উৎসাহী। টেস্ট খেলার মাঝেও আমাদের খোঁজখবর নিয়েছে। তাই এই জয় সবচেয়ে বেশি ওর প্রাপ্য।” উত্তর এসেছে পুজারার তরফেও। ভারতকে ম্যাচ জিতিয়ে তিনি বলেন, “সৌরাষ্ট্রের রঞ্জি জয় দারুণ ব্যাপার। সবাইকে অনেক অভিনন্দন। আমি স্কোর দেখছিলাম নিয়মিত। কিন্তু মধ্যাহ্নভোজের পর আর দেখার সুযোগ পাইনি। গোটা দলই দারুণ খেলেছে।”
দু’বছরের ব্যবধানে দু’বার রঞ্জি ফাইনালে সাক্ষাৎ। দু’বারই জিতল সৌরাষ্ট্র। কী ভাবে এই জয় এল? বাংলার ঘরের মাঠেও এই দাপুটে জয় কী কারণে হয়েছে? উনাদকাট মনে করেন, তাঁরা চারটি দিনই ভাল খেলেছেন। তিনি বলেছেন, “আমার মতে, দু’দলের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে মানসিকতা। আমরা অনেক বেশি শান্ত ছিলাম। ইডেনের মতো মাঠে খেলতে নেমেও ঘাবড়ে যাইনি। আগের বার রাজকোটে খেলার সময় আমাদের উপরেও চাপ ছিল। তবে শান্ত থাকার জন্যেই হয়তো পাঁচ শতাংশ বেশি সুবিধা আমরা পেয়েছি।”
সেই কথা অবশ্য মানতে চাননি বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। পাল্টা বলেছেন, “এ ধরনের ম্যাচে টসে জিতলে সবাই শান্ত থাকে। আমিও টসে জিতলে দল শান্ত থাকতাম। দলকেও শান্ত রাখতাম। টসে হার একটা বড় ফারাক হয়ে গেল।” বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল বললেন, “মানসিকতায় কোনও সমস্যা রয়েছে বলে মনে করি না। ওরা ভাল খেলেছে তাই জিতেছে। আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে।”
ফাইনালে আগে বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি বলেছিলেন, ম্যাচটা একপেশে হবে। তাই-ই হয়েছে। কিন্তু ফল গিয়েছে সৌরাষ্ট্রের পক্ষে। সেই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল উনাদকাটকে। তিনি বললেন, “আমার মনে হয় ম্যাচটা ভালই হয়েছে। আজকের দিন বাদে বাকি দিনগুলোয় বাংলা লড়াই দিয়েছে। কিছু সেশনে আমরা এগিয়ে ছিলাম। সেটাই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।
প্রতিপক্ষ বাংলারও প্রশংসা করেছেন উনাদকাট। বলেছেন, “ট্রফি জয় শুধু নয়, নকআউটে পর্যায়ে পৌঁছনোও একটা বড় ব্যাপার। গত তিন বছরে দু’বার ফাইনালে উঠেছে তারা। এত ভাল একটা দল তৈরি করেছে। ওদের খেলা দেখেছি। অন্তত দুটো দারুণ জিতেছে ওরা। ভাল খেলেছে অনুষ্টুপ এবং তরুণ ক্রিকেটাররা। তবে এই ম্যাচে আমরা হয়তো সামান্য এগিয়ে ছিলাম। তাই জিততে পেরেছি।”