ফিল্ডিং করার সময় মাথায় চোট পান আকাশ দীপ। —ফাইল চিত্র
ভেজা পিচের বিতর্ক কাটলেও ইডেনে চাপ বাংলা। দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই চোট আকাশ দীপের। কনকাশন সাব হিসাবে নামানো হল গীত পুরীকে। প্রথম ইনিংসে ওড়িশা তুলল ২৬৫ রান। ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৯ রান বাংলার। পিছিয়ে ২২৬ রানে।
বুধবার ফিল্ডিং করার সময় মাথায় চোট পান আকাশ দীপ। বাংলার পেসার চোটের কারণে এই ম্যাচে আর খেলতে পারবেন না। তাঁর বদলে গীত পুরীকে মাঠে নামানো হয়। তিনি ২১ ওভার বল করে নেন একটি উইকেট। ঈশান পোড়েল এবং প্রীতম চক্রবর্তী ৩টি করে উইকেট নেন। ২টি উইকেট নেন অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা আকাশ ঘটক। আকাশ দীপ মঙ্গলবার একটি উইকেট নিয়েছিলেন। ওড়িশার অধিনায়ক শুভ্রাংশু সেনাপতি ৬৭ রান করেন। সেটাই ওড়িশার ইনিংসের সর্বোচ্চ রান। শান্তনু মিশ্র করেন ৪২ রান।
বাংলার ওপেনার সমস্যা এই ম্যাচেও মিটল না। করণ লালকে আরও এক বার সুযোগ দেওয়ার কথা বলেছিলেন কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল। এই ম্যাচে তাঁকেই নামানো হয়। কিন্তু মাত্র ৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন করণ। রান পাননি সুদীপ ঘরামি। তিনি মাত্র ৯ রান করেন। দিনের শেষে ক্রিজে রয়েছেন অভিমন্যু ঈশ্বরন এবং নৈশপ্রহরী হিসাবে নামা প্রদীপ। অভিমন্যু অপরাজিত ১৪ রানে। প্রদীপ ৭ রান করে ক্রিজে। ওড়িশার হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন বসন্ত মোহান্তি এবং সুনীল রৌল।
তৃতীয় দিনে বাংলা চাইবে ওড়িশার ২৬৫ রান টপকে ৩ পয়েন্ট নিশ্চিত করা। যদিও এই ম্যাচের গুরুত্ব বাংলার কাছে খুব একটা নেই। রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে তারা। প্রথম দিন পিচ ভেজা থাকায় চার ঘণ্টা খেলা হয়নি। ম্যাচের অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে যায় সেই কারণে। বাংলার ক্রিকেটাররা মেনে নিয়েছেন যে, কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার জন্য এই ম্যাচের গুরুত্ব থাকলে বেশ বিপদেই পড়তেন তাঁরা।