রাহুল দ্রাবিড়। —ফাইল চিত্র।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর ভারতীয় দলের দায়িত্ব ছেড়েছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। দায়িত্ব নেন রাজস্থান রয়্যালসের। আইপিএল রিটেনশনে রাজস্থানের কৌশল তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। তবে এক জনের পরামর্শ মেনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।
জস বাটলারের মতো ক্রিকেটারকে ছেড়ে দিয়েছেন রাজস্থান কর্তৃপক্ষ। অথচ শিমরন হেটমেয়ারকে রেখে দিয়েছেন তাঁরা। রাজস্থান কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। দ্রাবিড় কিন্তু বিতর্কের কিছু দেখছেন না। রাজস্থান কোচ বলেছেন, ‘‘আমাদের রিটেনশনে সঞ্জু স্যামসনের বড় ভূমিকা ছিল। কাজ ওর জন্য মোটেও সহজ ছিল না। সঞ্জু এই দলের অধিনায়ক। দলের সকলের সঙ্গে ওর একটা সম্পর্ক রয়েছে। তবু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে দারুণ ভারসাম্য দেখিয়েছে। আমাদের কৌশলটা বুঝতে প্রথম দিকে একটু সমস্যা হচ্ছিল ওর। পরে যে ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং যুক্তিপূর্ণ আলোচনা করেছে, তা সত্যিই প্রশংসার। এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া কারও পক্ষেই সহজ হয় না।’’
দ্রাবিড় জানিয়েছেন, তাঁরা চেয়েছিলেন দলের ভারসাম্য এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে। যাঁদের ধরে রাখা হয়েছে, তাঁরা সকলেই অত্যন্ত যোগ্য। আগামী তিন বছর এই ছয় ক্রিকেটারই হবেন দলের মূল চালিকাশক্তি। আশাবাদী দ্রাবিড় বলেছেন, ‘‘আগামী মরসুমে সকলের একটাই প্রত্যাশা থাকবে। তা হল, যেন চ্যাম্পিয়ন হই। অনেকগুলো বছর হয়ে গিয়েছে, রাজস্থান আইপিএল জিততে পারেনি। তাই এ বার আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চেষ্টা করব। আইপিএলের বাকি দলগুলোও অত্যন্ত শক্তিশালী। তাই কঠিন লড়াই করতে হবে।’’ আইপিএল নিয়ে দ্রাবিড় সঞ্জুর পরামর্শ নিলেও গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁকে একটি ম্যাচেও খেলাননি ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ।
সঞ্জু ছাড়াও রাজস্থান কর্তৃপক্ষ ধরে রেখেছেন যশস্বী জয়সওয়াল, ধ্রুব জুড়েল, রিয়ান পরাগ, হেটমেয়ার এবং সন্দীপ শর্মাকে। উল্লেখ্য, ২০১১ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত রাজস্থানের হয়ে আইপিএল খেলেছিলেন দ্রাবিড়। পরের দু’বছর তিনি ছিলেন মেন্টর। সেই অর্থে প্রায় এক দশক পর আবার রাজস্থানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন দ্রাবিড়।