রোহিত শর্মা। —ফাইল চিত্র
একটি দল পাঁচ ম্যাচে পাঁচটিই জিতেছে। অন্য দলটি পাঁচটির মধ্যে হেরেছে চারটিতে। ধারেভারে প্রায় সমান হলেও এ বারের বিশ্বকাপে সম্পূর্ণ অন্য ধারার ক্রিকেট খেলছে ভারত ও ইংল্যান্ড। রবিবার লখনউয়ের মাঠে এই দুই দল মুখোমুখি। সাম্প্রতিক ফলের বিচারে ভারত অনেকটাই এগিয়ে। আধ ডজন জয়ের লক্ষ্যে নামবেন রোহিত শর্মারা। কিন্তু হারের ধাক্কায় ‘আহত’ ইংল্যান্ডকে নিয়ে সতর্ক তাঁরা। কোনও ভাবেই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হতে নারাজ ভারত।
ভারতীয় দলের অন্দরে এখন ফুরফুরে পরিবেশ। দলের প্রায় সবাই ফর্মে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেই ফর্ম ধরে রাখতে চাইবেন তাঁরা। ইংরেজ পেসারদের বিরুদ্ধে লড়াই হবে রোহিত ও শুভমন গিলের। বাঁহাতি ডেভিড উইলি সাধারণত বল ভিতরের দিকে ঢোকান। অনেকটা পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদির মতো। ভারতের ডানহাতি টপ অর্ডারকে সমস্যায় ফেলার চেষ্টা করবেন উইলি। তবে ভারতের দুই ওপেনার যেমন ফর্মে রয়েছেন তাতে পাল্টা উইলিকে আক্রমণ করা কঠিন হবে না।
বিরাট কোহলির সামনে আবার অন্য লড়াই। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫ রানের জন্য শতরান হাতছাড়া হয়েছিল। এখনও সচিন তেন্ডুলকরের এক দিনের ক্রিকেটে শতরানের থেকে পিছিয়ে (সচিনের ৪৯টি শতরান, বিরাটের ৪৮টি) বিরাট। রবিবার সচিনকে ছুঁয়ে ফেলতে চাইবেন তিনি। ইংল্যান্ডের বোলিংয়ের যা অবস্থা তাতে এর থেকে ভাল সুযোগ হয়তো তিনি পাবেন না।
ছন্দে রয়েছে ভারতের বোলিংর আক্রমণও। লখনউয়ের মাটিতে তিন পেসার ও দুই স্পিনার, না কি দুই পেসার ও তিন স্পিনারে ভারত খেলবে সেটাই দেখার। কারণ, লখনউয়ের উইকেট কিছুটা মন্থর। সেখানে স্পিনারের সাহায্য পান। এ বারের প্রতিযোগিতায় স্পিনের বিরুদ্ধে সমস্যায় পড়েছে ইংল্যান্ড। তাই রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে খেলানোর লোভ রোহিতেরা সামলাতে পারেন কি না সে দিকেও নজর থাকবে সবার।
তবে এগিয়ে থাকলেও অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস রাখতে নারাজ রোহিতেরা। তাঁরা জানেন, ইংল্যান্ড গত বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। কয়েকটি ম্যাচ তাঁরা খারাপ খেলেছেন। ভারতের বিরুদ্ধেই ফর্ম ফিরে পেতে পারেন ইংরেজ ক্রিকেটারেরা। তাই তাঁদের হালকা ভাবে নিলে সমস্যায় পড়তে পারে ভারত। জয়ের ধারা বজায় রাখতে চাইছেন রোহিতেরা। তাই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেললেও সতর্ক থাকবেন তাঁরা।