—ফাইল চিত্র
অচিন্ত্য শিউলি, সঙ্কেত সরগর কিংবা লভলি চৌবে, নয়নমণি সাইকিয়া, এই নামগুলো কিছু দিন আগেও ছিল অপরিচিত। এ বারের কমনওয়েলথ গেমস শিরোনামে এনে দিয়েছে তাঁদের। সঙ্কেত রুপো জেতেন। ভারতকে প্রথম পদকটা এনে দেন তিনিই। সোনা জেতেন জেরেমি, অচিন্ত্য, লভলিরা। সোনা জিতেছেন মীরাবাই চানুও। তাঁদের সাফল্য শুধু মানুষের নয়, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নজর ঘুরিয়ে দিয়েছে এই অক্রিকেটীয় খেলোয়াড়দের দিকে।
কমনওয়েলথ গেমসে এ বারের ভারতীয় দলের স্পনসর জিন্দল গোষ্ঠী। সেই সঙ্গে বার্মিংহামে খেলতে যাওয়া অ্যাথলিটদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে রিল্যায়ান্স এবং আদানির মতো সংস্থাও। অনেকের সঙ্গে এই সংস্থাগুলি চুক্তি করেছে ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিক্স পর্যন্ত। অক্রিকেটীয় খেলাগুলিকেও গুরুত্ব দিচ্ছে তারা।
এক সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে ভারতে স্পোর্টস স্পনসরশিপের ১২ শতাংশ পেয়েছিল অক্রিকেটীয় খেলাগুলি। বাকি ৮৮ শতাংশই পায় ক্রিকেট। করোনা অতিমারির পর ক্রিকেট বাদে অন্য খেলাগুলির স্পনসরশিপ বেড়েছে প্রায় আট শতাংশ। দেখা যাচ্ছে এখনও স্পনসরশিপের বিরাট অংশ ক্রিকেট পেলেও অন্য খেলাগুলি গুরুত্ব পেতে শুরু করেছে।
ক্রিকেট বাদে অন্য খেলাগুলি ২০২২ সালে এখনই প্রায় ১৫ শতাংশ স্পনসরশিপ পেয়ে গিয়েছে। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে টিআরএ রিসার্চ সংস্থার অন্যতম কর্তা এন চন্দ্রমৌলি বলেন, “কমনওয়েলথ গেমসে যে অ্যাথলিটরা গিয়েছেন তাঁদের জীবনের গল্পগুলি অন্যদের অনুপ্রেরণা দেবে। শুধু যাঁরা পদক জিতছেন তাঁরা নয়, বাকিদেরও অনেক কাহিনি রয়েছে। সংস্থাগুলি চাইছে সেই সব গল্প বলতে। তাঁদের বিজ্ঞাপনের মুখ করে তুলতে।”
এক নরমপানীয় সংস্থা বিভিন্ন খেলোয়াড়দের নিয়ে বিজ্ঞাপন তৈরি করেছে। সেখানে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় যেমন রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন প্যারালিম্পিক্সে সোনার পদকজয়ী অবনী লেখারা, রয়েছেন বিশ্ব বক্সিংয়ে সোনাজয়ী মহিলা বক্সার নিখাত জারিন।
রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ আশ্বাস দিয়েছে, তারা এশিয়ান গেমস এবং প্যারিস অলিম্পিক্সের মতো বড় প্রতিযোগিতায় খেলোয়াড়দের পাশে থাকবে। নেস্টলে এবং জেএসডব্লিউ একসঙ্গে পাটিয়ালার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব স্পোর্টসকে সাহায্য করছে আরও ভাল কোচ, সরঞ্জাম এবং পরিকাঠামোর ব্যবস্থা করার জন্য। তারা একটি বিজ্ঞাপন তৈরি করেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে টোকিয়ো অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী নীরজ চোপড়াকে। সেই সঙ্গে রয়েছেন হাই জাম্পার দেভা কার্তিক এবং জুডো চ্যাম্পিয়ন অলিভিয়া।
আরও বিভিন্ন সংস্থা তাদের মতো করে চেষ্টা করছে ক্রিকেটার ছাড়া অন্য খেলোয়াড়দের বিজ্ঞাপনের মুখ করতে। আদানি গ্রুপ ইতিমধ্যেই ‘গর্ব হে’ নামক একটি উদ্যোগ নিয়েছে। যে খেলোয়াড়রা এশিয়াড এবং প্যারিস অলিম্পিক্সে নামবেন তাঁদের সাহায্য করবেন। আগামী দিনের তারকাদের এই সংস্থাগুলি তুলে আনতে চায় বলে জানিয়েছে।