পাকিস্তান সুপার লিগের ট্রফি। —ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ভরসা নেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই)। তাই বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের সে দেশে খেলতে পাঠায় না বোর্ড। নিরাপত্তার বিষয়টিকে ভারতের অজুহাত বলে থাকেন পাকিস্তানের ক্রিকেট কর্তারা। অথচ সেই নিরাপত্তার কারণেই আগামী বছরের পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) সরে যাচ্ছে অন্য দেশে।
২০২৪ সালের পিএসএল হতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি অথবা দক্ষিণ আফ্রিকায়। নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যার কারণেই প্রতিযোগিতা অন্য দেশে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কর্তারা।
আগামী বছর পাকিস্তানে রয়েছে সাধারণ নির্বাচন। সেই কাজে ব্যস্ত থাকবেন নিরাপত্তাকর্মীরা। তাই আগামী বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে পিএসএল আয়োজনের ছাড়পত্র পিসিবিকে দেয়নি পাকিস্তানের সরকার। পিসিবি কর্তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ওই সময় প্রতিযোগিতার জন্য নিরাপত্তাকর্মী দেওয়া সম্ভব নয়। আবার অন্য সময় পিএসএল আয়োজন করলে বিদেশি ক্রিকেটারদের পাওয়া যাবে না। কারণ, প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি লিগের নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। সেই মতো চুক্তি করেন পেশাদার ক্রিকেটারেরা। তাই হঠাৎ প্রতিযোগিতার সময় বদল করা হলে, বিদেশি ক্রিকেটারদের পাওয়া যাবে না। পাকিস্তানের যে ক্রিকেটারেরা বিদেশি লিগে খেলেন, তাঁদের নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হবে।
এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের মাটিতে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে বা অন্য সময় পিএসএল আয়োজন করা কঠিন। তাই সংযুক্ত আরব আমিরশাহি বা দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রতিযোগিতা আয়োজনের কথা ভাবা হচ্ছে। ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রতিযোগিতার আকর্ষণ বজায় রাখতে এ ছাড়া উপায় নেই পিসিবি কর্তাদের সামনে। সাধারণত ফেব্রুয়ারির ১৯ বা ২০ তারিখ থেকে মার্চের ২০ বা ২১ তারিখ পর্যন্ত হয় পিএসএল। তাই দু’দেশের বোর্ড এবং ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন পাক ক্রিকেট কর্তারা।
নির্বাচনের জন্য অন্য দেশে প্রতিযোগিতা আয়োজন নতুন নয়। ভারতেও লোকসভা নির্বাচনের জন্য এক বার দক্ষিণ আফ্রিকায় এবং এক বার সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আইপিএল। সে দু’বারও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যার কারণেই অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছিল প্রতিযোগিতা। অর্থাৎ, আগামী বছরের পিএসএল নিয়ে বিসিসিআইয়ের দেখানো পথেই হাঁটছেন পিসিবি কর্তারা। এর আগে কখনও পাকিস্তানের বাইরে হয়নি পিএসএল। ২০২১ সালে কোভিডের সময়ও পাকিস্তানের মাটিতেই হয়েছিল পিএসএল।