উইকেট নেওয়ার পর টিম সাউদিরা। ছবি: পিটিআই
ইংল্যান্ডকে দ্বিতীয় টেস্টে হারিয়ে দিল নিউ জ়িল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে বেন স্টোকসরা এগিয়ে ছিলেন ২২৬ রানে। ফলো অন করতে নামিয়েছিলেন কেন উইলিয়ামসনদের। সেটাই ভুল হল। ১ রানে ম্যাচ হারল ইংল্যান্ড।
ঘরের মাঠে প্রথম টেস্ট হেরে গিয়েছিলেন উইলিয়ামসনরা। দ্বিতীয় টেস্টে হারলে সিরিজ়টাই হারতে হত কিউইদের। কিন্তু স্টোকসদের বিরুদ্ধে পাল্টা লড়াই করে টেস্ট জিতে নিল নিউ জ়িল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করে ৪৩৫ রান তুলে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দিয়েছিল ইংল্যান্ড। নিউ জ়িল্যান্ড ব্যাট করতে নেমে শেষ হয়ে যায় ২০৯ রানে। ফলো অন করতে নেমে উইলিয়ামসনের ১৩২ রানের দাপটে ৪৮৩ রান তোলে নিউ জ়িল্যান্ড। ইংল্যান্ডকে ২৫৮ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। সেই রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ১ রানে হারল ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের আক্রমণাত্মক ভাবে টেস্ট খেলার ধরনকে বাজ়বল বলা হচ্ছে। ঘরের মাঠে, পাকিস্তানে গিয়ে ইংল্যান্ড এই ধরনের ক্রিকেট খেলে সফল। নিউ জ়িল্যান্ডে গিয়েও প্রথম টেস্টে দাপট দেখিয়েছিলেন স্টোকসরা। পেসার জেমস অ্যান্ডারসনের দাপটে ম্যাচ জিতে নেন তাঁরা। দ্বিতীয় টেস্টেও সেই আক্রমণাত্মক ধরন বজায় রেখেই খেলছিল ইংল্যান্ড। সব ব্যাটারই দ্রুত রান তোলার দিকে নজর দিয়েছিলেন। যো রুট দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৩ বলে ৯৫ রান করেন। কিন্তু ম্যাচ হয়ের থেকে ১ রান দূরে থেমে যেতে হয় তাঁদের।
পঞ্চম দিনে টেস্ট জয়ের জন্য ২১০ রান প্রয়োজন ছিল ইংল্যান্ডের। অলি রবিনসন এবং বেন ডাকেট ক্রিজে ছিলেন চতুর্থ দিনের শেষে। কিন্তু টেস্টের পঞ্চম দিনের শুরুতেই আউট হয়ে যান রবিনসন। ডাকেটও ফেরেন অল্প রানে। দিনের শুরুতেই পর পর দু’টি উইকেট তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডকে ধাক্কাটা দেন কিউই অধিনায়ক টিম সাউদি। অলি পোপও মাত্র ১৪ রান করে আউট হয়ে যান। হ্যারি ব্রুক কোনও বল না খেলেই রান আউট হয়ে যান। স্টোকস ক্রিজে টিকে থাকার চেষ্টা করেন। তিনি ১১৬ বল খেলে ৩৩ রান করেন। উল্টো দিক থেকে রুট রান তুলতে থাকেন। জয়ের কাছে পৌঁছেও গিয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু ধারাবাহিক ভাবে উইকেট তুলে শেষ মুহূর্তে ম্যাচ জিতে নেয় নিউ জ়িল্যান্ড।
কিউইদের দ্বিতীয় ইনিংসে শতরান করে ম্যাচের সেরা উইলিয়ামসন। ইংল্যান্ডের শেষ ইনিংসে সব থেকে উইকেট নেন নিল ওয়াগনার। তিনি চারটি উইকেট নেন। তিনটি উইকেট নেন সাউদি। বাকি দু’টি উইকেট নেন ম্যাট হেনরি।