ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। —ফাইল চিত্র
আর্থিক প্রতারণার শিকার হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড? এখনও নাকি স্পনসরের কাছে তাদের ১৬০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এই বিষয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বিসিসিআই। আদালত স্পনসরকে নোটিস পাঠিয়েছে। দু’সপ্তাহের মধ্যে তাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ভারতীয় ক্রিকেট দলের স্পনসর হিসাবে চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে বাইজু’স-এর। কিন্তু এখনও তাদের ১৬০ কোটি টাকা বকেয়া আছে বলে অভিযোগ করেছে বোর্ড। সেই বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার দাবিতে বাইজু’স-এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করেছে বোর্ড। ‘ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইবুনাল’-এ অভিযোগ করেছে বিসিসিআই।
‘নাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইবুনাল’ নোটিস পাঠিয়েছে বাইজু’স-কে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘‘এই অভিযোগের জবাব দেওয়ার জন্য বাইজু’স-তে দু’সপ্তাহ সময় দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে তাদের জানাতে হবে যে কেন এই টাকা বকেয়া রয়েছে। সময়ের মধ্যে জবাব দিতে না পারলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’ ২২ ডিসেম্বর রয়েছে মামলার পরবর্তী শুনানি।
বোর্ডের দাবি, ছ’মাসের উপর টাকা বকেয়া রয়েছে। ২০২২ সালের মার্চ মাসে শিক্ষা সংক্রান্ত অ্যাপ বাইজু’স-এর সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়েছিল বোর্ডের। সেই সময় পর্যন্ত সব টাকা মিটিয়ে দিয়েছিল বাইজু’স। কিন্তু যত দিন না নতুন জার্সি স্পনসর পাওয়া যাচ্ছে তত দিন বাইজু’স-কে থেকে যাওয়ার অনুরোধ করে বোর্ড। সেই মতো, ২০২২ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের জার্সি স্পনসর ছিল বাইজু’স।
বিসিসিআই চেয়েছিল, ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত স্পনসর থাকুক বাইজু’স। তা হলে নতুন অর্থবর্ষ থেকে নতুন স্পনসর পাওয়া যেত। কিন্তু নভেম্বর মাসের পরে আর চুক্তি বৃদ্ধি করতে রাজি হয়নি তারা। বোর্ডের অভিযোগ, শেষ ছ’মাসের টাকা মেটায়নি বাইজু’স। সেই কারণেই আইনি পদক্ষেপ করেছে তারা। বাইজু’স অবশ্য জানিয়েছে, বোর্ডের সঙ্গে তাদের কথাবার্তা চলছে। দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে।
২০২২ সালের শেষ দিক থেকে আর্থিক সমস্যায় পরে বাইজু’স। ফলে ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ৫ হাজারের বেশি কর্মী ছাঁটাই করে তারা। তার পরেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি শেষ করে তারা।