রোহিত শর্মা। —ফাইল চিত্র।
শনিবার আইপিএলে অভিষেক হয়েছিল ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশীর। রবিবার অভিষেক হল ১৭ বছরের আয়ুষ মাত্রের। ঘরের মাঠে খেলতে নেমেছিলেন তিনি। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম চেন্নাই সুপার কিংসের ম্যাচে কেন্দ্রীয় চরিত্র হয়ে গেলেন সেই আয়ুষই। রোহিত শর্মার দাপটে মুম্বই ম্যাচ জিতল ৯ উইকেটে।
আয়ুষের ঘরের মাঠ মুম্বই। সেই দলের হয়েই ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেন তিনি। আইপিএলে যদিও তাঁকে নিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। চোটের কারণে বাদ যাওয়া রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের পরিবর্তে আয়ুষকে দলে নিয়েছে তারা। প্রথম ম্যাচেই বুঝিয়ে দিলেন কেন ট্রায়ালে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নজর কেড়েছিলেন আয়ুষ। রবিবার শুরুতেই বাঁহাতি অশ্বিনী কুমারকে সামনে পেয়েছিলেন তিনি। সেই ওভারে একটি চার এবং দু’টি ছক্কা মারেন আয়ুষ। এর পর দীপক চহরের ওভারেও বাউন্ডারি মারেন। চার ওভার ছিলেন মাঠে, তাতেই নিজের জাত চিনিয়ে গেলেন আয়ুষ।
ঘরোয়া ক্রিকেটে এই মরসুমেই অভিষেক হয়েছে আয়ুষের। ইরানি কাপে মুম্বইয়ের হয়ে খেলতে নেমেছিলেন অবশিষ্ট ভারতের বিরুদ্ধে। এখনও পর্যন্ত প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলেছেন ৯টি ম্যাচ। লিস্ট এ ম্যাচ খেলেছেন ৭টি। ইতিমধ্যেই প্রথম শ্রেণি এবং লিস্ট এ মিলিয়ে চারটি শতরান করে ফেলেছেন তিনি। আইপিএলেও তাঁর শুরুটা খারাপ হয়নি। আগামী দিনে যদিও ১৫ বল খেলে আউট হয়ে গেলে হবে না। রুতুরাজের জায়গায় নিজের নাম পাকা করতে হলে আরও বড় ইনিংস খেলতে হবে আয়ুষকে।
রবিবার আয়ুষ নামার আগে ১৯ বলে ১৬ রান করেছিল চেন্নাই। তিনি যখন আউট হয়ে ফিরছেন, তখন চেন্নাই ৪১ বলে ৫৭ রান তুলে নিয়েছে। চেন্নাই লড়াইয়ে ফেরার সাহসটা পেয়েছিল আয়ুষের ইনিংসের কারণেই। চেন্নাইকে ১৭০ রানের গণ্ডি পার করানোর নেপথ্যে চার নম্বরে নামা রবীন্দ্র জাডেজা। ৩৫ বলে ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। জাডেজাকে সঙ্গ দিয়েছিলেন শিবম দুবে। আয়ুষের মতো মুম্বই তাঁরও ঘরের মাঠ। সেখানে খেলতে নেমে ৩২ বলে ৫০ রান করেন তিনি। জাডেজা এবং শিবমের জুটিতে ৭৯ রান তোলে চেন্নাই। শেষ বেলায় বড় শট খেলে জাডেজা দলকে লড়াই করার মতো জায়গা করে দিয়েছিলেন। তাতে যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। ম্যাচ অনায়াসে জিতে নেয় মুম্বই।
রবিবার রানে ফিরলেন রোহিত শর্মাও। এত দিন রান পাচ্ছিলেন না তিনি। রবিবার চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করলেন ভারত অধিনায়ক। তাঁর দাপটে লাইন, লেংথ ছন্নছাড়া হয়ে গেল খলিল আহমেদদের। ১৭৬ রান নিয়ে ওয়াংখেড়ের মাঠে লড়াই করা কঠিন ছিল। রোহিত (৭৬ রানে অপরাজিত), সূর্যকুমার যাদবদের (৬৮ রানে অপরাজিত) ব্যাট চলতে শুরু করলে যা আরও সহজ হয়ে যায়। মুম্বই তাই ওয়াংখেড়েতে ম্যাচ জিতল ২৬ বল বাকি থাকতেই।