BCCI

হঠাৎ দেখেন, একটি বিশেষ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তাঁকে নেওয়া হয়েছে! অবাক বাংলার জোরে বোলার মুকেশ কুমার

মুকেশের বাবা কাশীনাথ সিংহ ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন। তার আগে রোজ সকালে অনুশীলন করে বিকেলে হাসপাতালে যেতেন মুকেশ। হাজার চেষ্টা সত্ত্বেও কাশীনাথকে বাঁচানো যায়নি। তাঁর কথাই মনে পড়ছে মুকেশের।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২২ ১১:৪৫
Share:

জাতীয় দলে খেলবেন মুকেশ। ফাইল ছবি

ভারতীয় দলে যে তাঁকে নেওয়া হয়েছে, সে কথা জানতেনই না। হঠাৎ খেয়াল করেন, জাতীয় দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তাঁকে নেওয়া হয়েছে। তখনই গোটা বিষয়টি ফাঁস হয় মুকেশ কুমারের কাছে। ভারতীয় দলে প্রথম বার সুযোগ পেয়ে একই সঙ্গে আপ্লুত এবং আবেগপ্রবণ মুকেশ। বার বার তাঁর মনে পড়ছে প্রয়াত বাবার কথা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকারে মুকেশ বলেছেন, “খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। চোখের সামনে সব ঝাপসা হয়ে আসছে। বাংলার হয়ে রঞ্জি খেলার সময় বাবা বার বার বলতেন, পেশাদারি ক্রিকেটে হয়তো আমার পক্ষে ভাল কিছু করা সম্ভব নয়। ওঁর ধারণা ছিল, আমার অতটা দক্ষতা নেই।”

রঞ্জি ফাইনাল খেলার আগে বাবা কাশীনাথ সিংহ ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন। তার আগে রোজ সকালে অনুশীলন করে বিকেলে হাসপাতালে যেতেন মুকেশ। বাবার বিছানার পাশে বসে থাকতেন। হাজার চেষ্টা সত্ত্বেও কাশীনাথকে বাঁচানো যায়নি। কিন্তু প্রয়াত বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে খুশি মুকেশ। বলেছেন, “খবরটা শুনে মায়ের চোখে জল। বাড়ির প্রত্যেকে আনন্দ কাঁদছে।”

Advertisement

গত মরসুমে লাল বলের ক্রিকেটে বাংলার হয়ে সবচেয়ে ধারাবাহিক ছিলেন মুকেশ। ভারত ‘এ’ দলের হয়েও দুর্দান্ত খেলেছেন। ইরানি কাপে অবশিষ্ট ভারতের হয়ে সুযোগ পেয়ে প্রথম বার নেমেই চার উইকেট তুলে নিয়েছেন। বল দু’দিকে ঘোরাতে পারার জন্য সুনাম রয়েছে মুকেশের। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “হাতের কারুকার্য ঈশ্বরের দান। কিন্তু সেই আশীর্বাদ পেয়ে কঠোর পরিশ্রম না করলে কিছুই হবে না।”

মুকেশকে অনেকটাই সাহায্য করেছেন ভিভিএস লক্ষ্মণ, যিনি কয়েক বছর আগে বাংলার মেন্টর ছিলেন। মুকেশের কথায়, “লক্ষ্মণ স্যর এসে আমাকে বলেন, বাংলার হয়ে যে লেংথে বল করি, এখানেও একই রকম বোলিং করতে। আমি শুধু ওঁর নির্দেশ শুনেছি।” ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়ে এ বার প্রথম সারির ক্রিকেটারদের থেকে শিখতে মরিয়া মুকেশ। বলেছেন, “জীবনের প্রতিটা মুহূর্তে কিছু না কিছু শেখার রয়েছে। যত দিন ক্রিকেট খেলছি, শেখার আগ্রহ থামবে না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement