ইডেনে ঋষভ পন্থ। ছবি: রয়টার্স।
এ বার ইডেন গার্ডেন্সের উইকেট ব্যাটারদের স্বর্গরাজ্য। প্রতি ম্যাচে বড় রান হচ্ছে। মঙ্গলবার কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম লখনউ সুপার জায়ান্টসের ম্যাচে দু’ইনিংস মিলিয়ে মোট ৪৭২ রান হয়েছে। লখনউয়ের ২৩৮ রানের জবাবে কলকাতা করেছে ২৩৪ রান। এই রকম উইকেটেও ব্যাট করতে নামেননি পন্থ। কেন? সেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন লখনউয়ের অধিনায়ক।
লখনউয়ের ইনিংসে মোট পাঁচ জন ব্যাট করেছেন। এডেন মার্করাম, মিচেল মার্শ, নিকোলাস পুরান বরাবরই তাদের হয়ে প্রথম তিনে নামেন। চার নম্বরে খেলেন পন্থ। কিন্তু মঙ্গলবার তিনি চার নম্বরে নামান আব্দুল সামাদকে। পাঁচে নামেন ডেভিড মিলার। পন্থ তৈরি হয়ে বাউন্ডারির ধারে দাঁড়িয়ে থাকলেও তাঁর আর নামা হয়নি।
ম্যাচ শেষে লখনউয়ের অধিনায়ক জানান, ডানহাতি-বাঁহাতি ভারসাম্য রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, “আমরা ডানহাতি-বাঁহাতি ভারসাম্য ঠিক রাখতে চেয়েছিলাম। ওদের দলে ভাল স্পিনার ছিল। তাই ডানহাতি-বাঁহাতি ব্যাটার ক্রিজ়ে রাখার পরিকল্পনা করেছিলাম। সেটা কাজে লেগেছে। সেই কারণেই আমার আগে সামাদ নেমেছে।” পন্থ বোঝাতে চেয়েছেন যে, মার্শ আউট হওয়ার পর বাঁহাতি পুরান ক্রিজ়ে ছিলেন। সেই কারণে বাঁহাতি পন্থের জায়গায় ডানহাতি সামাদকে নামানো হয়েছিল।
এ বারের নিলামে ২৭ কোটি টাকায় পন্থকে কিনেছে লখনউ। আইপিএলের ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার তিনি। কিন্তু প্রথম চার ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ পন্থ। পঞ্চম ম্যাচে নামলেন না তিনি। এ বারের আইপিএলে মোট ১৯ রান করেছেন পন্থ। ইডেনের উইকেটে হয়তো রান পেতেন পন্থ। তাতে আত্মবিশ্বাস বাড়ত তাঁর। কিন্তু দলের স্বার্থে নামেননি লখনউয়ের অধিনায়ক।
গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
তাতে অবশ্য জিততে সমস্যা হয়নি লখনউয়ের। মঙ্গলবার প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩৮ রান করে লখনউ। মার্শ ৪৮ বলে ৮১ ও নিকোলাস পুরান ৩৬ বলে ৮৭ রান করেন। জবাবে একটা সময় মনে হচ্ছিল, কেকেআর জিতে যাবে। কিন্তু অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে ৩৫ বলে ৬১ রান করে আউট হওয়ার পরেই খেই হারায় কলকাতা। রিঙ্কু সিংহ শেষ দিকে ১৫ বলে ৩৮ রান করেও দলকে জেতাতে পারেননি। ৪ রানে হারতে হয় কলকাতাকে। এই জয়ের পর পাঁচ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে উঠেছে লখনউ।