কুইন্টন ডি’কক। —ফাইল চিত্র।
রাজস্থানের বিরুদ্ধে সহজেই জিতল কলকাতা। ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিল তারা। ১৫ বল বাকি থাকতে জয় কলকাতার। ডি’কক করলেন ৯৭ রান।
মইন আলি এবং অজিঙ্ক রাহানে আউট হলেও কেকেআরের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন কুইন্টন ডি’কক। অর্ধশতরান করলেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার স্পিনার হাসরঙ্গের বিরুদ্ধে বড় শট খেলতে গিয়ে আউট রাহানে। ১৫ বলে ১৮ রান করে আউট হলেন কেকেআরের অধিনায়ক।
প্রথম দিকে রান করতে পারছিলেন না কেকেআরের দুই ওপেনার। ধীরে ধীরে ক্রিজ়ে থিতু হচ্ছেন তাঁরা। ১৫ বলে ২৫ রান করেছেন কুইন্টন ডি’কক। ৯ বলে ২ রান করেছেন মইন আলি।
ধ্রুব জুরেলের ৩৩ রানই ভরসা দিল দলকে। কলকাতার বোলারদের বিরুদ্ধে চাপে পড়ে গিয়েছিল রাজস্থানের ব্যাটারেরা। কেউই সে ভাবে রান করতে পারেননি। শেষ দিকে ৭ বলে ১৬ রান করেন আর্চার। তাঁর ব্যাটে ভর করেই ১৫০ রানের গণ্ডি পার করে রাজস্থান। কলকাতার সামনে ১৫২ রানের লক্ষ্য রেখেছে তারা।
একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপে রাজস্থান। ১১ ওভারে মাত্র ৮২ রান তুলেছে তারা। সেই সঙ্গে হারিয়েছে পাঁচ উইকেট। কেকেআরের স্পিনারদের দাপটে চাপে রাজস্থান।
রিয়ান পরাগকে ফেরালেন বরুণ চক্রবর্তী। ভারতীয় স্পিনারের বলে পরাগ বড় শট খেলতে গিয়েছিলেন অসমের ছেলে। ২৫ রান করে আউট পরাগ।
পঞ্চম ওভারটি করছিলেন হর্ষিত রানা। শেষ বলে যশস্বী ক্যাচ দিয়েছিলেন তাঁর হাতেই। কিন্তু হর্ষিত বল ধরতে পারেননি। ১৯ রানের মাথায় আউট হচ্ছিলেন যশস্বী।
কলকাতা বিরুদ্ধে সঞ্জুর উইকেট হারালেও ৫ ওভারে ৪১ রান তুলেছে রাজস্থান। ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল এবং তিন নম্বরে নামা রিয়ান পরাগ ক্রিজ়ে রয়েছেন।
বৈভব আরোরার বলে ক্রিজ় ছেড়ে খেলতে গিয়ে বোল্ড হলেন সঞ্জু স্যামসন। ১১ বলে ১৩ রান করে আউট হয়ে যান তিনি।
কুইন্টন ডি’কক, বেঙ্কটেশ আয়ার, অজিঙ্ক রাহানে, রিঙ্কু সিংহ, মইন আলি, আন্দ্রে রাসেল, রমনদীপ সিংহ, স্পেনসার জনসন, বৈভব অরোরা, হর্ষিত রানা, বৈভব চক্রবর্তী।
যশস্বী জয়সওয়াল, সঞ্জু স্যামসন, নীতীশ রানা, রিয়ান পরাগ, ধ্রুব জুরেল, শিমরন হেটমেয়ার, ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গ, জফ্রা আর্চার, মাহিশ থিকসানা, তুষার দেশপাণ্ডে, সন্দীপ শর্মা।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রথম একাদশে বদল। সুনীল নারাইন অসুস্থ। তাঁর জায়গায় মইন আলিকে দলে নেওয়া হয়েছে।
গত দু’বছর ধরেই রাজস্থান নিজেদের দু’টি হোম ম্যাচ খেলে বর্ষাপারা স্টেডিয়ামে। বুধবার কলকাতার বিরুদ্ধে রাজস্থানের প্রথম হোম ম্যাচ। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, বুধবার বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা মাত্র চার শতাংশ। অর্থাৎ হবে না বললেই চলে। সন্ধ্যার দিকে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। দিনের বেলা তাপমাত্রা থাকবে ৩৩ ডিগ্রি। রাতে তা কমে ২০ ডিগ্রি হবে। ফলে মনোরম আবহাওয়াতেই খেলতে পারবে দুই দল। খুব জোরে হাওয়া বওয়ারও সম্ভাবনা নেই।
প্রতিযোগিতার প্রথম ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে ঘরের মাঠে হারতে হয়েছে। বুধবার অজিঙ্ক রাহানের দলের দ্বিতীয় প্রতিপক্ষ রাজস্থান রয়্যালস। সঞ্জু স্যামসনেরাও প্রথম ম্যাচে হেরে গিয়েছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে। স্বভাবতই দু’দলের কাছেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দ্বিতীয় ম্যাচ।