David Warner

David Warner: ওয়ার্নারের মাথা ব্যবহার কর, অস্ট্রেলিয়া বোর্ডকে তোপ স্ত্রী ক্যান্ডিসের

বল বিকৃতি কাণ্ডের জন্য ওয়ার্নারকে নেতৃত্ব দেওয়া হয় না। ক্ষুব্ধ তাঁর স্ত্রী ক্যান্ডিস। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অবিচারের অভিযোগ তাঁর।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২২ ১৫:৩৫
Share:

স্ত্রী ক্যান্ডিসের সঙ্গে ওয়ার্নার। ছবি: টুইটার।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে এক হাত নিলেন ডেভিড ওয়ার্নারের স্ত্রী। ক্যান্ডিস ওয়ার্নারের অভিযোগ, তাঁর স্বামীর উপর অবিচার করছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট কর্তারা।

Advertisement

কেন জাতীয় দলের নেতৃত্ব দেওয়া হবে না ওয়ার্নারকে? কেন তাঁকে নেতৃত্ব থেকে আজীবন নির্বাসিত করে রাখা হবে? প্রশ্ন তুলে ওয়ার্নারের প্রতি অবিচারের সরাসরি অভিযোগ তুললেন তাঁর স্ত্রী। ক্যান্ডিসের নিশানায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।

ক্যান্ডিসের বক্তব্য, নিজেদের অনড় মনোভাবের জন্য ওয়ার্নারের ক্রিকেট মস্তিষ্ককে ব্যবহারই করতে পারছে না অস্ট্রেলিয়া। তিনি বলেছেন, ‘‘আমার স্বামী সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে গিয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে। ভারতে খেলতে গিয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে। সকলে ওর ক্রিকেট মস্তিষ্কের প্রশংসা করছে। সকলেই দেখছে অধিনায়ক হিসাবে ও কী করতে পারে।’’ অস্ট্রেলিয়ার একটি রেডিয়োয় দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওয়ার্নারের স্ত্রী।

Advertisement

২০১৮ সালে বল বিকৃতি কাণ্ডে তৎকালীন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ এবং ওয়ার্নারকে এক বছরের জন্য নির্বাসিত করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। সে সময় অস্ট্রেলিয়ার সহ-অধিনায়ক ছিলেন ওয়ার্নার। দু’জনকেই ক্রিকেটে ফেরানো হলেও, ভবিষ্যতে স্মিথ এবং ওয়ার্নার কখনও দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। যদিও গত বছর টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক করা হয় স্মিথকে।

নির্বাসনের একটা বছর নিয়েও কথা বলেছেন ক্যান্ডিস। ওয়ার্নারের স্ত্রী বলেছেন, ‘‘ওই ঘটনা নিয়ে আমার স্বামীকে কোনও প্রশ্ন করতে চাইনি। সব সময় পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আমি চেষ্টা করতাম ওয়ার্নারকে যতটা সম্ভব শক্ত রাখতে। অন্য কিছু নিয়ে ভাবতাম না। তখন আমাদের পরিবারের একটাই চিন্তা ছিল— এর পর কী হবে।’’

ক্যান্ডিস আরও বলেছেন, ‘‘প্রতিটা দিন কী ভাবে কাটবে, তাই নিয়ে ভাবতাম আমরা। বিশ্বাস ছিল, ওয়ার্নার সুযোগ পাবেই। পরে কানাডা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলার সুযোগ পায়। যে কোনও ক্রীড়াবিদের জন্যই সেটা কঠিন সময়। পাশে পাশে থাকার চেষ্টা করতাম। যাতে বেশি হতাশ না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখতাম।’’

অনেকে অভিযোগ করেন, নেতৃত্বের দায়িত্ব পান না বলে বিগ ব্যাশ লিগ নিয়ে তেমন আন্তরিক নন ওয়ার্নার। তিনি বেশি আগ্রহী আইপিএল বা ক্যারিবিয়ান লিগ নিয়ে। এই অভিযোগও মানতে চাননি বাঁহাতি ব্যাটারের স্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘‘ওয়ার্নারের টি-টোয়েন্টি রেকর্ড দুর্দান্ত। সেটা ভারতের মাটিতে হোক বা অস্ট্রেলিয়ায়। ও আমাদের অন্যতম সেরা ব্যাটার। নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকায় বিগ ব্যাশ খেলেনি, তা নয়। ওই সময় আমাদের পরিবারের মনে হয়েছিল না খেলাই ভাল হবে। আরব আমিরশাহিতে আরও একটা টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা ছিল। যেখানে রোজগার করার সুযোগ অনেক বেশি। ওয়ার্নারের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হওয়াই কারণ নয়। আমাদের পরিবারের জন্য কোনটা ভাল সেটাও গুরুত্ব পেয়েছে।’’

অস্ট্রেলিয়ায় কখনও নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পাবেন না, তা আস্তে আস্তে মেনে নিয়েছেন ওয়ার্নার। উল্লেখ্য, বিগ ব্যাশে ওয়ার্নার মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলেছিলেন সিডনি থান্ডারের হয়ে। নেতৃত্বও দিয়েছিলেন। এই টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় প্রথম শতরান করার কৃতিত্ব রয়েছে তাঁর ঝুলিতে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement