অভিষেক নায়ারের (বাঁ দিকে) সঙ্গে কেকেআর কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। ছবি: সংগৃহীত।
ভারতীয় দল থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর আবার কেকেআর শিবিরে ফিরে এসেছেন অভিষেক নায়ার। শনিবারই দলের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দিয়েছিলেন। রবিবারও তাঁকে অনুশীলনে দেখা গিয়েছে। নায়ারকে ফিরে পেয়ে নতুন স্বপ্ন দেখা শুরু হয়েছে কেকেআর শিবিরে। গুজরাত টাইটান্স ম্যাচের আগে তেমনই জানালেন দলের স্পিন বোলিং কোচ কার্ল ক্রো। এ দিকে, দলের ক্রিকেটারেরাও ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আশাবাদী।
নায়ারের সঙ্গে দলের ক্রিকেটারদের যে বন্ধন রয়েছে, তাতেই অনেক লাভ হবে বলে মনে করেন ক্রো। ম্যাচের আগে সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, “অভিষেক দীর্ঘ দিন ধরে এই দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল। কোচিং স্টাফ এবং ক্রিকেটার, সবার কাছেই ও জনপ্রিয়। সব সময় এই দলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। তাই অভিষেককে ফিরে পেয়ে ভাল লাগছে। নিঃসন্দেহে দলের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।”
আইপিএলের প্রথম সাতটি ম্যাচের চারটিতেই হেরেছে কেকেআর। তবে বাকি সাতটি ম্যাচে নায়ার বড় ভূমিকা নিতে পারেন বলে মনে করেন ক্রো। তাঁর কথায়, “গত বার আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল নায়ারের। ম্যাচের ব্যাপারে দারুণ কথা বলতে পারে ও। ক্রিকেটারদের সঙ্গে খুব ভাল সম্পর্ক। বাকি মরসুমটায় ওকে পেয়ে উপকৃত হবে দল।”
এ দিকে, কেকেআরের ক্রিকেটারেরাও মনে করছেন, বাকি মরসুমে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। কেকেআর নাইট ক্লাবে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মইন আলি বলেছেন, “আমরা খুব খারাপ খেলিনি। ভালই খেলেছি। দুটো এমন ম্যাচ হেরেছি যেগুলো জেতা উচিত ছিল। সেই ম্যাচগুলো থেকে শিক্ষা নিয়েছি। পরের ম্যাচগুলোয় ও রকম পরিস্থিতি এলে ঠিক জিতব। পর পর দুটো ম্যাচ জিতলেই ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব।”
রহস্য স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী বলেছেন, “আপনি কোনও প্রতিযোগিতায় খেলতে নামলে মাথায় রাখতেই হবে যে, আপনিই সেরা। যদি বাকি সাতটা ম্যাচের পাঁচটায় জিততে পারি, ঘরের মাঠে চারটে ম্যাচে ভাল খেলতে পারি তা হলে প্লে-অফ অবশ্যই সম্ভব।”
অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মণীশ পাণ্ডের মনে পড়েছে ২০১৪ সালের কথা, যে বার কেকেআর দ্বিতীয় ট্রফি জিতেছিল। মণীশ বলেছেন, “২০১৪ সালেও এ ভাবেই আমরা প্রায় ছিটকে গিয়েছিলাম। তবে কেউ কেউ বিশ্বাস রেখেছিল যে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। তার পর আমরা টানা ন’টা ম্যাচ জিতি। তাই অলৌকিক কিছু ঘটতেই পারে।”