আঙুল দিয়ে ন’টি শতরানের কথা বোঝাচ্ছেন করুণ নায়ার। ছবি: পিটিআই।
প্রথম ইনিংসে অল্পের জন্য শতরান পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে আর ভুল করলেন না করুণ নায়ার। বিদর্ভের ব্যাটার শতরান করে রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে চালকের আসনে বিদর্ভ। রবিবার খেলার পঞ্চম দিন। যা পরিস্থিতি তাতে অঘটন না হলে ট্রফি উঠতে চলেছে তাদের হাতেই।
কেরলের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৮৬ রান করেছিলেন করুণ। দ্বিতীয় ইনিংসে ধৈর্য দেখিয়ে ক্রিজ় কামড়ে পড়েছিলেন। তার ফলও পান। ১৮৪ বলে শতরান পূরণ করেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রচুর রান করলেও জাতীয় দলে ডাক পান না দীর্ঘ দিন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাঁকে না নেওয়া নিয়ে অনেক বিতর্কও হয়েছে।
শনিবার জলজ সাক্সেনার বল মিড উইকেটে ঠেলে এক রান নিয়ে শতরান পূরণ করেন করুণ। সঙ্গে সঙ্গে গোটা মাঠ এবং সাজঘর উঠে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানায় এই ক্রিকেটারকে। করুণ ব্যাট, হেলমেট মাটিতে রেখে দস্তানা খুলে ন’টি আঙুল দিয়ে বিশেষ মুদ্রা দেখাতে থাকেন। ক্রিকেটমহলের ধারণা, চলতি মরসুমে ন’টি শতরান বোঝাতেই তিনি এই মুদ্রা দেখিয়েছেন।
বিদর্ভ প্রথম ইনিংসে ৩৭৯ রান তুলেছিল। জবাবে কেরলের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৩৪২ রানে। শনিবার দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে বিদর্ভ। প্রথম ইনিংসের মতো এ বারও তারা লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের আগে নামায়। শুরুটা ভাল হয়নি। সাত রানে দু’উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। পার্থ রেখাড়ে (১) এবং ধ্রুব শোরে (৫) ফিরে যান।
তৃতীয় উইকেটে জুটি গড়েন করুণ এবং দানিশ মালেওয়ার। প্রথম ইনিংসেও এঁরা দু’জনেই বিদর্ভকে টেনে তুলেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও দেখা গিয়েছে একই চিত্র। ১৮২ রানের জুটি গড়েন দু’জনে। ৭৩ রানে দানিশ আউট হলেও শতরান করেন করুণ। দিনের শেষে তিনি ২৮০ বলে ১৩২ রানে অপরাজিত। ১০টি চার এবং দু’টি ছয় মেরেছেন। তাঁর সঙ্গে ক্রিজ়ে রয়েছেন অক্ষয় ওয়াদকর (৪)।