কেন উইলিয়ামসন। —ফাইল চিত্র।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে তাঁর দল। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হেরে রানার্স। ভারতের মাটিতে খেলতে এসে টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজ় হেরে ফিরতে হয়েছে দেশে। ঘরের মাঠে নিউজ়িল্যান্ড ভয়ঙ্কর হলেও দেশের বাইরে জেতার অভ্যাস এখনও তৈরি করতে পারেননি কেন উইলিয়ামসন, টিম সাউদিরা।
সোমবার অ্যামাজ়ন প্রাইমে মনোজ বাজপেয়ী ও সায়নী গুপ্তের সঙ্গে আড্ডায় খোশমেজাজে থাকা উইলিয়ামসন ও টিম সাউদি জানিয়ে গেলেন, এ বার থেকে বিদেশের মাটিতে জেতার অভ্যাস তৈরি করতে চান তাঁরা।
সাউদি বলেছেন, ‘‘দল হিসেবে প্রত্যেক বছরই উন্নতি করে চলেছি। তার ফলও আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেরও ফাইনাল খেলেছি। কিন্তু বিদেশের মাটিতে জেতার অভ্যাস এখনও তৈরি করতে পারিনি। মূলত টেস্ট ক্রিকেটে এখনও পর্যন্ত আমরা সেরাটা দিতে পারছি না। আশা করি, ধীরে ধীরে সেই জায়গায় আমাদের উন্নতি হবে।’’ যোগ করেন, ‘‘শেষ কয়েক বছরে বিদেশের মাটি থেকে আমরা সে রকম সাফল্য পাইনি। সেই জায়গায় কী ভাবে উন্নতি করা যায়, সেটাই দেখার।’’
সাউদির উত্তরের সঙ্গেই উইলিয়ামসন বলে ওঠেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতির মধ্যে অনেক ক্রিকেট খেলতে হয়েছে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ়ও খেলেছি। একটার পর একটা প্রতিযোগিতা চলছে। মানসিক ভাবে তৈরি হয়ে মাঠে নামার সুযোগ কম।’’ যোগ করেন, ‘‘তবুও বলব, দল হিসেবে আমরা যথেষ্ট সফল। অনেক ক্ষেত্রে হারলেও অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। বড় প্রতিযোগিতায় আমরা সেরাটা দিয়েছি। সফল হয়েছি। আমি মনে করি, এ ভাবেই ধীরে ধীরে আমরা এগিয়ে যেতে থাকব। ২০২২ বিশ্বকাপে হয়তো আরও পরিণত দল হয়ে নামব।’’
অ্যামাজ়ন প্রাইম আয়োজিত চ্যাট শো-এ উইলিয়ামসন ও সাউদির পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন কাইল জেমিসন, সোফি ডিভাইন, সুজ়ি বেটস ও অ্যামেলিয়া কের। প্রত্যেকেই জানিয়েছেন, ভারতে ক্রিকেট খেলতে আসাটা তাঁরা খুব উপভোগ করেন। উইলিয়ামসন বলছিলেন, ‘‘ভারতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ হায়দরাবাদি বিরিয়ানি। এত সুস্বাদু খাবার কোথাও খাইনি।’’ সাউদির কথায়, ‘‘ভারতীয়দের মধ্যে ক্রিকেটের প্রতি আবেগ ও ভালবাসা দেখে আমি মুগ্ধ। আর কোনও দেশে এতটা আবেগপ্রবণ ক্রিকেট-ভক্ত দেখা যায় না।’’
সোভি ডিভাইন ও সুজ়ি বেটস অবশ্য ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের প্রশংসা করলেন। ফেব্রুয়ারিতে সে দেশেই খেলতে যাবেন স্মৃতি মন্ধানা, শেফালি বর্মারা। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলকে সহজে হারানো সম্ভব নয়, তা পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দিলেন দু’জনে। সোফি ডিভাইন বলছিলেন, ‘‘মেয়েদের ক্রিকেটে বড় শট নিতে আগে দেখা যেত না।’’