উইকেট নেওয়ার পর উচ্ছ্বাস যশপ্রীত বুমরার। ছবি: রয়টার্স।
ইংল্যান্ডকে চাপে রাখলেন যশপ্রীত বুমরা। জ্যাক ক্রলি দ্রুত অর্ধশতরান করে দলকে টানছিলেন। কিন্তু বুমরা ২ উইকেট নিয়ে ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনলেন। বেন স্টোকসেরা এখনও ২৪১ রানে পিছিয়ে। চা বিরতিতে যাওয়ার আগে ইংল্যান্ড ১৫৫/৪।
প্রথমে ব্যাট করে ৩৯৬ রান করে ভারত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার জ্যাক ক্রলি এবং বেন ডাকেট দ্রুত রান তুলছিলেন। বাংলার মুকেশ কুমার ২ ওভারে ২২ রান দেন। অন্য বোলারদেরও সমস্যায় ফেলে দিয়েছিলেন দুই ইংরেজ ওপেনার। সেই জুটি ভাঙেন কুলদীপ যাদব। তিনি তুলে নেন ডাকেটের (২১) উইকেট।
গত ম্যাচে শতরান করা অলি পোপ এবং ক্রলি মিলে আবার জুটি গড়তে শুরু করেছিলেন। তাঁদের জুটি ভাঙেন অক্ষর পটেল। ৭৮ বলে ৭৬ রান করে আউট হয়ে যান ক্রলি। এর পরেই ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডারকে ভাঙতে শুরু করেন বুমরা। পোপকে বোল্ড করেন বুমরা। ভারতীয় পেসারের ইয়র্কার সামলাতে পারেননি পোপ। তিনি ২৩ রান করেন। চা বিরতিতে যাওয়ার আগে আউট হয়ে যান জো রুটও। তাঁর উইকেটও নেন বুমরা।
শনিবার যশস্বী জয়সওয়াল দ্বিশতরান করলেন চার মেরে। তার আগের বলটাতেই ছক্কা মেরেছিলেন। শতরান বা দ্বিশতরানের কাছে পৌঁছে অনেক ব্যাটারকেই দেখা যায় সাবধানী হতে। কিন্তু ২২ বছরের তরুণ ওপেনার ডাকাবুকো। তিনি বেশি অপেক্ষা করার পক্ষপাতী নন। বাউন্ডারি মেরেই মাইলফলক পার করেন যশস্বী।
যশস্বী ছাড়া বাকি ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান শুভমন গিলের। তিনি ৩৪ রান করেন। রজত পাটীদার করেন ৩২ রান। ২৭ রান করেন শ্রেয়স আয়ার এবং অক্ষর পটেল। রবিচন্দ্রন অশ্বিন করেন ২০ রান। ১৭ রান শ্রীকর ভরতের। অধিনায়ক রোহিত শর্মা আউট ১৪ রানে। তাঁদের মধ্যে কেউ রান পেলে ভারতের ইনিংস আরও লম্বা হতে পারত। কিন্তু ইংল্যান্ডের বোলারেরা সেটা হতে দিলেন না।
অভিজ্ঞ জেমস অ্যান্ডারসন দেখালেন পিচ থেকে সাহায্য না পেলেও কী ভাবে উইকেট তুলতে হয়। তিনি নিলেন ৩ উইকেট। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা শোয়েব বশিরও ৩ উইকেট নিয়েছেন। তরুণ রেহান আহমেদ নিয়েছেন ৩ উইকেট। একটি উইকেট নেন টম হার্টলি।