যশপ্রীত বুমরা। —ফাইল চিত্র।
ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ় নিয়ে উত্তেজিত যশপ্রীত বুমরা। মাঠের নামার জন্য কর সইছে না তাঁর। বেন স্টোকসদের ‘বাজ়বল’ ক্রিকেটকেও গুরুত্ব দিতে নারাজ তিনি। খানিকটা হুঁশিয়ারির সুরে বুমরার দাবি, ইংল্যান্ডের আগ্রাসী ক্রিকেট সুবিধা দেবে ভারতীয় দলকেই।
ব্রেন্ডন ম্যাকালাম কোচ হওয়ার পর থেকে টেস্টে ‘বাজ়বল’ (ইংল্যান্ডের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলাচ্ছেন দলকে। যে হেতু তাঁর ডাকনাম ‘বাজ়’, ইংল্যান্ডের ক্রিকেটকে বাজ়বল বলা হচ্ছে।) ক্রিকেট খেলছে ইংল্যান্ড। স্টোকসদের বিরুদ্ধে প্রায় সব দলই সাবধানে থাকে লাল বলের ক্রিকেটে। ৩০ বছরের জোরে বোলার মনে করছেন ভয় পাওয়ার কিছু নেই। বুমরার বক্তব্য, ভারতের পিচে ইংল্যান্ড যত বেশি আগ্রাসী ক্রিকেট খেলবে, ভারতের উইকেট পাওয়ার সম্ভাবনা তত বাড়বে। বলেছেন, ‘‘বাজ়বল ব্যাপারটা আমাকে খুব একটা ভাবাচ্ছে না। যদিও ওরা মাঠে সাফল্য পাচ্ছে। আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করতে চাইছে। বিশ্বকে দেখিয়েছে টেস্ট ক্রিকেট অন্য ভাবেও খেলা যায়।’’ আপনি কি চিন্তিত নন ইংল্যান্ডের এই রণকৌশলে? কিছুটা হুঁশিয়ারির সুরে বুমরা বলেছেন, ‘‘বোলার হিসাবে মনে হচ্ছে, ওদের এই কৌশল আমাকে খেলার মধ্যেই রাখবে। ওরা আগ্রাসী খেলে বা দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করে আমাকে কিন্তু ক্লান্ত করতে পারবে না। আমিও লাভবান হতে পারি। উইকেট পেতে পারি। আমি তো ভাবছি কী করে ওদের এই ক্রিকেটের ফায়দা তোলা যায়। ইংল্যান্ডের আগ্রাসী ক্রিকেটের প্রশংসা করেও বলব, এক জন বোলার খেলার মধ্যে থাকার সুযোগ পাবে।’’
ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ় প্রসঙ্গে বুমরা উল্লেখ করেছেন এর পুরনো লড়াইয়ের কথা। ২০২১ সালের লর্ডস টেস্টের কথা বলেছেন তিনি। জেমস অ্যান্ডারসনের বিরুদ্ধে একটি ১০ বলের ওভার করেছিলেন বুমরা। সে প্রসঙ্গে ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘সে সময় কিছুটা ক্লান্ত ছিলাম। ইংল্যান্ডের একটা উইকেট পড়া বাকি ছিল। তাই যতটা সম্ভব জোরে বল করার চেষ্টা করছিলাম। ওভারের মাঝামাঝি অ্যান্ডারসনের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘তুমি ঠিক আছ তো?’ খুব একটা ভাল উত্তর পাইনি। তখন বয়স আর একটু কম ছিল। এখন আরও ভাল মানুষ হওয়ার চেষ্টা করছি। সেই ঘটনাটা খুব একটা ভাল ভাবে নেওয়া হয়নি। দলে প্রভাব ফেলেছিল। অ্যান্ডারসন একটু রেগে গিয়েছিল। তবে আমাদের ভাল লড়াইও হয়েছিল।’’
সে জন্য অবশ্য আক্ষেপ নেই বুমরার। তাঁর কথায়, খেলার মাঠে উত্তেজক পরিস্থিতিতে এমন হয়েই থাকে। সেগুলি খেলোয়াড়দের সম্পর্কে প্রভাব ফেলে না। প্রতিপক্ষের অভিজ্ঞ জোরে বোলারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বুমরা। তিনি বলেছেন, ‘‘অ্যান্ডারসনের প্রচুর কৃতিত্ব রয়েছে। সত্যি বলতে ছোট থেকেই আমি ওকে অনুসরণ করি। ৪১ বছর বয়সেও খেলে চলেছে। এখনও ক্রিকেটের প্রতি ওর আবেগ এবং সাফল্যের খিদে দেখার মতো। বল করার টেকনিক শেখা যায়। অনুশীলন করে দক্ষতা রপ্ত করা যায়। কিন্তু এই বয়সেও খেলা চালিয়ে যাওয়া সত্যিই দুর্দান্ত।’’
ভারত-ইংল্যান্ড পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ় শুরু হবে ২৫ জানুয়ারি থেকে। দু’দল প্রথম টেস্টে মুখোমুখি হবে হায়দরাবাদের ২২ গজে।