হার্দিক পাণ্ড্য। —ফাইল চিত্র।
প্রশ্নের মুখে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ক্রিকেটার ভেদে নিয়ম বদলের অভিযোগ উঠছে। বুধবার বার্ষিক কেন্দ্রীয় চুক্তি ঘোষণা করেছে বিসিসিআই। সেই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে শ্রেয়স আয়ার ও ঈশান কিশনকে। বোর্ডের নির্দেশ মতো ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলায় শাস্তি পেতে হয়েছে তাঁদের। কিন্তু হার্দিক পাণ্ড্য ঘরোয়া ক্রিকেট না খেললেও তাঁকে এই আওতায় ফেলা হবে না বলে জানানো হয়েছে। তার পরেই প্রশ্ন উঠছে।
প্রশ্ন তুলেছেন ইরফান পাঠান। ভারতের এই প্রাক্তন ক্রিকেটারের প্রশ্ন, যদি নিয়ম করা হয় তা হলে সেটা সবার জন্যই এক রাখা উচিত। কাউকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া উচিত নয়। কিন্তু সেটাই দেখা গিয়েছে এই ক্ষেত্রে। বোর্ড সম্ভবত হার্দিকের চোট বিবেচনা করে তাঁকে বাড়তি সুবিধা দিয়েছে। তার পরেও প্রশ্ন তুলছেন ইরফান।
এক্স হ্যান্ডলে ইরফান লেখেন, “শ্রেয়স ও ঈশান দু’জনেই প্রতিভাবান ক্রিকেটার। আমি নিশ্চিত ওরা ফিরে আসবে। যদি হার্দিকের মতো ক্রিকেটার লাল বলের ক্রিকেট খেলতে না চায় তা হলে অন্য ফরম্যাটে জাতীয় দলে ফিরতে কি ওকেও ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে হবে? যদি এই নিয়ম সবার ক্ষেত্রে এক না হয় তা হলে কিন্তু ফল পাওয়া যাবে না।”
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের মাঝপথে দেশে ফিরে এসেছিলেন ঈশান। জানিয়েছিলেন, মানসিক অবসাদ হয়েছে তাঁর। ঈশানের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিল ম্যানেজমেন্ট। তাঁকে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে আবার জাতীয় দলে ফেরার পরামর্শ দিয়েছিলেন দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়। কিন্তু সেই পরামর্শ মানেননি ঈশান। এমনকি, বোর্ডের নির্দেশও মানেননি। ঝাড়খণ্ডের হয়ে রঞ্জি না খেলে বরোদায় গিয়ে হার্দিক ও তাঁর দাদা ক্রুণালের সঙ্গে অনুশীলন করেছেন তিনি। সেই ঘটনা ভাল ভাবে নেয়নি বোর্ড। অনেকটা একই কারণে শাস্তির মুখে পড়েছেন শ্রেয়সও। তাঁকেও মুম্বইয়ের হয়ে রঞ্জি খেলতে বলা হয়েছিল। তিনি চোটের অজুহাত দেন। অথচ সেই সময় কেকেআর শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন শ্রেয়স। তার পরেই চুক্তি থেকে বাদ পড়েন তিনি।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে হার্দিকও টেস্ট খেলেননি। সুস্থ হওয়ার পরেও নিজেকে লাল বলের ক্রিকেটের বাইরে রেখেছেন। তার পরেও তাঁকে জাতীয় দলে ফিরতে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে হচ্ছে না। এই বিষয়কেই সামনে এনেছেন ইরফান। প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।