মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। —ফাইল চিত্র।
বেঙ্গালুরুতে শনিবার বসেছিল আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক। তাতে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলি সর্বাধিক ছ’জন ক্রিকেটারকে ধরে রাখতে পারবে। তবে এ বার একটি নিয়ম ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আগামী আইপিএলে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির খেলা নিশ্চিত করতেই এই নিয়ম বলে মনে করছেন ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশ।
ক্রিকেটারদের ধরে রাখা নিয়ে আটটি সিদ্ধান্ত হয়েছে শনিবারের বৈঠকে। সাত নম্বর সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, এক জন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারকে পুনরায় ঘরোয়া ক্রিকেটার হিসাবে বিবেচনা করা হবে যদি সেই ক্রিকেটার সংশ্লিষ্ট মরসুমের আগের পাঁচ বছর কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ না খেলে থাকেন বা জাতীয় দলের অংশ না হন এবং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না থাকেন। এই নিয়ম শুধু ভারতীয় খেলোয়াড়দের জন্যই প্রযোজ্য।
২০১৯ সালের জুলাই মাসে শেষ বার ভারতের হয়ে খেলেছেন ধোনি। সে বছরই সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেন তিনি। সেই হিসাবে ২০২০ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত পাঁচ বছর তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনও ম্যাচ খেলেননি। এই পাঁচ বছর ধোনি ভারতীয় দলের অংশ নন এবং বিসিসিআইয়ের কেন্দ্রীয় চুক্তিতেও নেই। বোর্ডে নতুন নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে আবার ২০২৫ সাল থেকে ঘরোয়া ক্রিকেটার হিসাবে বিবেচনা করা যাবে।
ধোনি কত দিন আইপিএল খেলতে চান, তা সরকারি ভাবে ঘোষণা করেননি। মনে করা হচ্ছে, তিনি আরও এক বছর খেলবেন। চেন্নাই সুপার কিংস কর্তৃপক্ষ চান ক্রিকেটজীবনের শেষ ম্যাচেও তাঁর গায়ে থাকুক হলুদ জার্সি। ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির সফলতম অধিনায়ককে তাঁরা ছাড়তে নারাজ। কিন্তু তাঁকে ধরে রাখতে হলে মোটা টাকা খরচ করে তিন বছরের জন্য ধরে রাখতে হত। তাই চেন্নাই প্রথম থেকে বিকল্প পথের সন্ধানে ছিল। বোর্ড কর্তাদেরও চেন্নাই কর্তৃপক্ষ প্রস্তাব দিয়েছিলেন, শেষ চার-পাঁচ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না খেলা ক্রিকেটারদের ঘরোয়া ক্রিকেটার হিসাবে বিবেচনা করা হোক। তা হলে তুলনায় কম খরচে ধোনিকে ধরে রাখা সম্ভব হবে। তিনি এক বছর খেললেও দল গঠনে বিশেষ প্রভাব পড়বে না। নিলামে তুলে অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলির সঙ্গেও দরাদরিতে যেতে হবে না।
আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল এক রকম সেই প্রস্তাবই মেনে নিয়েছে। তাই মনে করা হচ্ছে, ৪৩ বছরের ধোনির আইপিএল খেলা নিশ্চিত করতেই এই নতুন নিয়ম। তালিকায় সাত নম্বর নিয়মে বলা হয়েছে এই কথা। কাকতালীয় হলেও সাত নম্বর জার্সি পরে খেলেন ধোনিও। ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশের বক্তব্য, ‘‘থালা ফর এ রিজ়ন।’’