KKR

KKR: টি২০-র ধাঁচে শেষ মুহূর্তে কী ভাবে বাজিমাত, নেপথ্য কাহিনি শোনালেন কেকেআর কর্তারা

নিলামের দ্বিতীয় দিনের শেষ রাউন্ডে পর পর স্যাম বিলিংস, মহম্মদ নবি, টিম সাউদি, উমেশ যাদবের মতো তারকাদের কিনে নিয়েছে নাইট রাইডার্স।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭:৪১
Share:

নিলামে শেষ হাসি হাসল কেকেআর ছবি: টুইটার

ঠিক যেন টি২০ ম্যাচ। প্রথমের দিকে উইকেট ধরে শুরু। শেষ পাঁচ ওভারে ঝোড়ো ব্যাটিং। এ বারের নিলামে কলকাতা নাইট রাইডার্সের পারফরম্যান্স ব্যাখ্যা করতে গেলে কুড়ি-বিশের ক্রিকেটের কথাই মনে পড়ে। অনেকটা তেমনই হয়েছে বলে মনে করছেন কেকেআর কর্তারাও। সব মিলিয়ে নিলামে যথেষ্ট খুশি তাঁরা। কিন্তু কী ভাবে শেষ মুহূর্তে কয়েক জন ভাল ক্রিকেটার তাঁরা তুলে নিলেন তার ব্যাখ্যা দিলেন নাইটদের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বেঙ্কি মাইসোর ও দলের মেন্টর অভিষেক নায়ার।

Advertisement

নিলামের দ্বিতীয় দিনের শেষ রাউন্ডে পর পর স্যাম বিলিংস, মহম্মদ নবি, টিম সাউদি, উমেশ যাদবের মতো তারকাকে কিনে নিয়েছে নাইট রাইডার্স। দল দেখে ক্রিকেট সমালোচকরা বলছেন তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার মিশেলে দল গড়েছে কেকেআর। একই দাবি বেঙ্কির। তবে এ ভাবে দল গড়তে গিয়ে তার পিছনে অনেক পরিকল্পনা করতে হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

বেঙ্কি বলেন, ‘‘এটা আমার চতুর্থ বড় নিলাম। এত দিনে অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। তাই নিলাম টেবিলে কী ভাবে নিজের আবেগ-উত্তেজনা নিয়ন্ত্রেণে রাখতে হয় তা শিখে গিয়েছি। প্রথমের দিকে অনেক ক্রিকেটারের জন্য বিড করার লোভ সামলাতে হয়েছে। যাদের আমাদের দরকার তাদের জন্য অপেক্ষা করেছি। তার জন্যই হয়তো শেষ দিকে বেশ কিছু ক্রিকেটারকে কিনতে পেরেছি।’’

Advertisement

এই কাজে গোটা ম্যানেজমেন্ট তাঁকে সাহায্য করেছে বলে জানিয়েছেন বেঙ্কি। তিনি বলেন, ‘‘৬০০ ক্রিকেটারের মধ্যে ১৪-১৫ জন ক্রিকেটার বাছা সহজ নয়। যাকে চাইব তাকে নাও পেতে পারি। তাই বিকল্প তৈরি রাখতে হয়। অনেক দিন আগে থেকে তার পরিকল্পনা করেছি। নিলাম টেবিলে সেটা কাজে করে দেখানোর চেষ্টা করেছি। কিছু ক্রিকেটারকে ছেড়ে দিতে হলেও যাদের কিনতে চেয়েছিলাম তাদের মধ্যে অনেককেই পেয়েছি। এই দলে আমরা খুব খুশি।’’

অইন মর্গ্যান, দীনেশ কার্তিক, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণদের ছেড়ে দিতে হলেও শিবম মাভি, রিঙ্কু সিংহ, নীতিশ রানা, প্যাট কামিন্সদের ফের কিনেছে কলকাতা। দলে প্রত্যাবর্তন হয়েছে উমেশের। এতে খুশি বেঙ্কি। তিনি বলেন, ‘‘আমরা যদি সবাইকে ধরে রাখতে পারতাম তা হলে সব থেকে খুশি হতাম। কিন্তু সেটা সম্ভব নয়। এ বার রাইট টু ম্যাচ কার্ড (নিলামে কোনও ক্রিকেটারকে অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি কিনলেও এই কার্ড ব্যবহার করে তাঁকে পুরনো দল ধরে রাখতে পারে) ছিল না। ফলে অন্য ভাবে পরিকল্পনা করতে হয়েছে। তবে কিছু প্লেয়ারকে ছাড়তে হয়েছে। তারা কিন্তু ভাল দাম পেয়েছে। এতে আমি খুশি।’’

দলে এ বার কয়েক জন নতুন মুখ রয়েছে। রমেশ কুমার, অশোক শর্মা, অভিজিৎ তোমরদের তেমন ভাবে কেউ চেনে না। তবে এই ক্রিকেটাররা প্রত্যেকেই প্রতিভাবান বলে দাবি করেছেন দলের মেন্টর অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‘আমরা দেশের ক্রিকেটারদের খোঁজ রাখি। কেকেআর-এর ঐতিহ্য তরুণ ক্রিকেটারদের তৈরি করা। রমেশ বা অভিজিৎ, এরা প্রত্যেকেই খুব ভাল ক্রিকেটার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের সঙ্গে থেকে এরা আরও ভাল হবে।’’

এ বারের আইপিএল টেবিলে শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান, কন্যা সুহানা, জুহি চাওলার কন্যা জাহ্নবীকে দেখা গিয়েছে। তাঁদের নিয়ে উচ্ছ্বসিত বেঙ্কি। তাঁদের কিছুটা সামলাতে হলেও নতুন প্রজন্মের খেলার প্রতি উৎসাহ অবাক করেছে তাঁকে।

গত বার অইন মর্গ্যানের নেতৃত্বে আইপিএল-এর ফাইনালে উঠেছিল কলকাতা। এ বার শ্রেয়স আয়ার, অজিঙ্ক রহাণেরা রয়েছেন। অধিনায়ক কে হবেন তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত একটা কথাও বলেনি ম্যানেজমেন্ট। তবে অধিনায়ক যিনিই হোন, তরুণ-অভিজ্ঞ, নবীন-পুরনোদের নিয়ে এ বারেও ভাল ফলের আশা করছেন তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement