কাইয়া এবং সিকান্দারের শতরানে হার বাংলাদেশের। ছবি টুইটার
স্কোরবোর্ডে তিনশোর উপর রান তুলেও জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে প্রথম এক দিনের ম্যাচে হেরে গেল বাংলাদেশ। জোড়া শতরানের সুবাদে তামিম ইকবালের দলকে পাঁচ উইকেট হারিয়ে দিয়েছে জিম্বাবোয়ে। সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল তারা।
টসে হেরে ব্যাটিং করতে নামলেও বাংলাদেশের খেলায় কোনও জড়তা ছিল না। প্রথম চার ব্যাটারই অর্ধশতরান করেন। তামিম এবং লিটন দাসের ওপেনিং জুটিতে উঠে যায় ১১৯ রান। তামিম ৬২ করে ফেরার পর লিটনের সঙ্গে জুটি বাঁধেন আনামুল হক। ৮১ রান করে লিটনের হ্যামস্ট্রিংয়ে টান ধরে। উঠে দাঁড়াতেই পারছিলেন না। স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয়। প্রথমে জানা গিয়েছিল ম্যাচে তিনি আর খেলতে পারবেন না। পরে জানা যায়, সিরিজেই তিনি নেই। এমনকি এশিয়া কাপেও তাঁকে নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিল।
এ দিন বাংলাদেশকে বাকি ইনিংস নিয়ে চিন্তা করতে হয়নি। আনামুল (৭৩) এবং মুশফিকুর রহিম (৫২) স্কোরবোর্ডে বড় রান তুল দেন। মাহমুদুল্লা (অপরাজিত ২০) দলের রান ৩০০ পার করে দেন।
বল হাতেও বাংলাদেশের শুরুটা ভাল হয়েছিল। ছ’রানের মধ্যে দু’টি উইকেট হারায় জিম্বাবোয়ে। মুস্তাফিজুর রহমান এবং শোরিফুল ইসলাম তখন দুরন্ত বোলিং করছেন। ইনোসেন্ট কাইয়া এবং ওয়েসলি মাধেভেরে কিছুটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। মাধেভেরে ফেরার পরে জিম্বাবোয়েকে রোখা যায়নি। কাইয়ার সঙ্গে জুটি বাঁধেন সিকান্দার রাজা। চতুর্থ উইকেটে দু’জনে যোগ করেন ১৯২ রান। ওখানেই জিম্বাবোয়ের জয়ের ভিত তৈরি হয়ে যায়। ১১০ রান করে কাইয়া ফিরলেও রাজা ম্যাচ শেষ করে আসেন। ১৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। পাঁচ উইকেটে ম্যাচ জেতে জিম্বাবোয়ে।
নয় বছর পর বাংলাদেশকে হারাল জিম্বাবোয়ে। শেষ বার জিতেছিল ২০১৩ সালের ৮ মে। এর পর টানা ১৯ ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে হেরেছে তারা। অবশেষে কাটল খরা।