সূর্যকুমার যাদব। —ফাইল চিত্র।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় এখনও টাটকা সূর্যকুমার যাদবের স্মৃতিতে। ফাইনালে বাউন্ডারি লাইনের ধারে ডেভিড মিলারের ক্যাচ ধরার ভিডিয়ো এখনও প্রতি দিন দেখেন সূর্যকুমার। আরও একটি ২০ ওভারের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন এ ভাবেই লালন করছেন তিনি।
সূর্যকুমারের সেই ক্যাচই ভারতের চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিশ্চিত করে দিয়েছিল। বিশ্বকাপের পর তিনিই এখন টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘‘ফোন দেখার সুযোগ থাকলে প্রতি ঘণ্টায় এক বার করে সেই ক্যাচের ভিডিয়োটা দেখি। অসংখ্য বার দেখা হয়ে গিয়েছে। নিজেকে ভীষণ ভাগ্যবান মনে হয়। সে দিন দেশের জন্য বিশেষ কিছু একটা করতে পেরেছিলাম। অন্য দিকে মন থাকলে বল বাউন্ডারি লাইনের বাইরে চলে যাওয়ার পর হয়তো দেখতাম। ফাইনালে অনেকগুলি বিশেষ মুহূর্ত ছিল। ওদের (দক্ষিণ আফ্রিকা) যখন ৩০ বলে ৩০ রান দরকার ছিল, সেই সময়ই ঘটনাটা ঘটেছিল।’’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে এক সময় চাপে পড়ে যাওয়া ভারতকে লড়াইয়ে ফেরানোর কৃতিত্ব তিন সতীর্থকে দিয়েছেন সূর্যকুমার। তিনি বলেছেন, ‘‘যশপ্রীত বুমরাহ, অর্শদীপ সিংহ এবং হার্দিক পাণ্ড্য আমাদের লড়াইয়ে ফিরিয়েছিল। শেষ ৬ বলে ওদের ১৬ দরকার ছিল। ওরা তিন জন ভীষণ পরিশ্রম করেছিল। আমিও একটা সুযোগ পেয়েছিলাম। না হলে হয়তো ম্যাচটা আরও আগেই শেষ হয়ে যেত।’’
সূর্যকুমারের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নানা ট্যাটু আছে। তবে ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পর নতুন কোনও ট্যাটু করাননি। এ নিয়ে সূর্যকুমার বলেছেন, ‘‘বিশ্বজয়ের স্মরণে কোনও ট্যাটু করাইনি। আমার স্ত্রী এ সব পছন্দ করেন না। আমাদের সুখের সংসারে অশান্তি ডাকতে চাইনি। বিয়ের পর থেকে আমাকে একটাও ট্যাটু করাতে দেয়নি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পর হাতে একটা ট্যাটু করাতে চেয়েছিলাম। আমার স্ত্রী রাজি হয়নি। তবে আমাকে একটা চ্যালেঞ্জ দিয়েছে। ২০২৬ সালে আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতলে একটা ট্যাটু করাব হাতে।’’
মিলারের সেই ক্যাচ এবং স্ত্রীর দেওয়া চ্যালেঞ্জের মাধ্যমেই আরও এক বার বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন লালন করছেন সূর্যকুমার। অধিনায়ক হিসাবে ট্রফি তুলতে পারলে খারাপ কী?