স্ত্রী প্রীতির সঙ্গে রবিচন্দ্রন অশ্বিন। —ফাইল চিত্র।
ধর্মশালায় শততম টেস্ট খেলে ফেলেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তাঁর ঝুলিতে ৫১৬টি টেস্ট উইকেট। অশ্বিনের পরিবার সেই টেস্টে তাঁর পাশে ছিল। দুই মেয়েকে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন স্ত্রী প্রীতি। তিনি জানালেন, অশ্বিনকে বিয়ে করার অভিজ্ঞতা। প্রীতি জানিয়েছেন, কোভিডের সময় প্রথম বার স্বামী-স্ত্রীর মতো কাছাকাছি আসতে পেরেছিলেন তাঁরা।
কোভিডের সময় অশ্বিনকে দীর্ঘ সময় কাছে পেয়েছিলেন প্রীতি। সেই অভিজ্ঞতার কথাও বলেছেন তিনি। প্রীতি বলেন, “করোনার সময় আমরা অনেকটা সময় একসঙ্গে ছিলাম। কিছুটা আশীর্বাদের মতোই ছিল সেটা। তবে ভয় হচ্ছিল এটা ভেবে যে, আর হয়তো ক্রিকেট খেলা হবে না। তাহলে জীবনে আর কী থাকবে? বিয়ের ৮-৯ বছর পর সেটাই বোধ হয় প্রথম আমরা স্বামী-স্ত্রীর মতো কাছাকাছি ছিলাম।”
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রীতি বলেন, “বিয়ের আগে আমরা সে ভাবে মেলামেশার সুযোগ পাইনি। বিয়ের পর পরই চলে গিয়েছিলাম কলকাতা। পরের দিন টেস্ট ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে। আমি বুঝতে পারিনি এত সাংবাদিক আমাদের জন্য অপেক্ষা করে থাকবেন। বিয়ের সময় অশ্বিন যখন আমাকে মঙ্গলসূত্র পরাচ্ছে, তখন বুঝতে পারছিলাম না কোন ফোটোগ্রাফারকে আমরা ডেকেছি। সেই সময় প্রথম বুঝতে পারি, এক জন ক্রিকেটারকে বিয়ে করার অর্থ।”
প্রীতি জানিয়েছেন, তিনি শুধু অশ্বিনকে নন, ক্রিকেটকেও ভালবেসে ফেলেছেন। প্রীতি বলেন, “আমি ক্রিকেটকে যে কখন ভালবেসে ফেলেছি সেটা বুঝতে পারিনি। অশ্বিনকে আমি ভালবাসি। কিন্তু যে কাজটা ও করে সেটাকে ভাল না বাসলে আমি ওর পাশে থাকতে পারতাম না। কিন্তু প্রথম কয়েক বছর খুব অসুবিধা হত। ঠিক মেনে নিতে পারতাম না। বুঝতে পারতাম অশ্বিন ক্রিকেটকে এত বেশি সময় দিচ্ছে বলে, আমাকে সময় দিতে পারছে না। ক্রিকেট না থাকলে আমি আরও বেশি সময় অশ্বিনকে পাশে পেতাম। খুব অবাক হয়েছিলাম প্রথম কয়েক বছর। আমাদের সন্তান হল। আমার পুরো সময় ছিল ওদের জন্য। এখন বুঝি সেই সময় ক্রিকেটকে সময় না দিলে, এখন এই সাফল্য অশ্বিন পেত না। পরিবারকে সময় দিতে পারেনি। সেই সময় ক্রিকেটকে দিয়েছে। এখন তার ফল পাচ্ছে।”