চোখের জলে মাঠ ছাড়ছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ছবি: পিটিআই
মানতে পারছিলেন না রোহিত শর্মা। কোনও রকমে হাত মেলাচ্ছিলেন প্রতিপক্ষ ক্রিকেটারদের সঙ্গে। কিন্তু তার পরেই কেঁদে ফেললেন ভারত অধিনায়ক। চোখের জলে মাঠ ছাড়লেন তিনি। বিরাট কোহলিও অনেক কষ্টে চেপে রেখেছিলেন কান্না। ছলছল চোখে বিরাট দ্রুত মাঠ ছাড়ার চেষ্টা করছিলেন। বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পরেই হাহাকার ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে।
চলতি প্রতিযোগিতায় টানা ১০টি ম্যাচ জিতে ফাইনালে পা রেখেছিল ভারতীয় দল। দেশের মাটিতে আরও এক বার বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন দেখছিলেন সমর্থকেরা। কিন্তু ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ব্যাটে-বলে পর্যুদস্ত হতে হয়েছে ভারতকে। হারের পর হতাশা আটকে রাখতে পারলেন না ভারতীয় ক্রিকেটারেরা।
সব থেকে বেশি হতাশ লাগছিল মহম্মদ সিরাজকে। মাঠেই কেঁদে ফেলেন তিনি। মাঠে সিরাজের কান্না নতুন নয়। প্রথম বার ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়ে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে গেয়ে কেঁদেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য শুনেও কেঁদেছিলেন। কিন্তু সে সবের থেকে এ দিনের কান্না অনেক বেশি কষ্টের।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল জয়সূচক রান নিতেই মাঠে হাঁটু মুড়ে বসে গ্লাভস দিয়ে মুখ লুকিয়ে ফেলেন রাহুল। মাঠ ছাড়তে চাইছিলেন না তিনি। তাঁকে টেনে তোলেন যশপ্রীত বুমরা। সিরাজকেও সামলান বুমরা। কিন্তু রবীন্দ্র জাডেজাকে সামলাতে পারেননি। এক দিকে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারেরা যখন উল্লাস করছেন তখন জাডেজা গিয়ে হাত দিয়ে এক দিকের উইকেট ভেঙে ফেলেন। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল, হতাশা ও রাগ থেকে এই কাজ করেছেন তিনি।
একই অবস্থা দেখা গেল ভারতীয় সাপোর্ট স্টাফদের মধ্যেও। মাথা নিচু করে মাঠে ঢোকেন রাহুল দ্রাবিড়েরা। নিয়ম মেনে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আবার মাঠ ছাড়েন তাঁরা। বোঝাই যাচ্ছিল, কতটা দুঃখে রয়েছে গোটা দল। বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের ধাক্কা তখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি তাঁরা।
ম্যাচের পরে ভারতীয় ক্রিকেটারদের বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যে ভাবে গোটা প্রতিযোগিতায় ভারত খেলেছে তার জন্য তিনি গর্বিত। রোহিতদের লড়াইয়ের প্রশংসা করেছেন তিনি। আগামী দিনেও গোটা দেশ ভারতীয় দলের পাশে থাকবে বলেই জানিয়েছেন মোদী।