দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ছক্কা মারতে গিয়েই আউট হয়েছেন ঈশান। —ফাইল চিত্র
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচে ৯৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন তিনি। ঘরের মাঠে সাতটি ছয় মেরেছেন ভারতীয় ব্যাটার ঈশান কিশন। শেষ পর্যন্ত ছয় মারতে গিয়েই আউট হয়েছেন তিনি। কিন্তু তার পরেও কোনও আফসোস নেই ঈশানের। তাঁর দাবি, তাঁর মতো সহজে ছয় কেউ মারতে পারেন না। তাই এক-দু’রান নিয়ে খুব একটা চিন্তা করেন না তিনি।
ম্যাচ শেষে সাংবাদিক বৈঠকে ঈশানকে প্রশ্ন করা হয়, সিঙ্গলস না নিয়ে তিনি কেন বড় শট খেলার চেষ্টা করছিলেন। জবাবে ঝাড়খণ্ডের ব্যাটার বলেন, ‘‘কোনও কোনও প্লেয়ারের শক্তি এক-দু’রান নেওয়া। আবার কোনও প্লেয়ারের শক্তি ছয় মারা। কেউ আমার মতো সহজে ছক্কা মারতে পারে না। আমি খুব সহজে ছক্কা মারি। ওটাই আমার শক্তি। যদি আমি সহজে ছক্কা মারতে পারি, তা হলে খামোখা এক-দু’রান কেন নিতে যাব?’’
তবে সেই সঙ্গে ঈশান স্বীকার করে নিয়েছেন, কোনও কোনও ম্যাচে পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে গেলে একটু সাবধানী ইনিংস খেলতে হয়। তিনি বলেন, ‘‘অনেক সময় অবশ্য এক-দু’রান নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যখন খুব তাড়াতাড়ি উইকেট পড়ে গিয়েছে তখন নেমেই বড় শট খেলার ঝুঁকি নেওয়া যায় না। তাই সে ভাবেও নিজেকে তৈরি করি। কিন্তু আমার সামনে যদি ছয় মারার বল আসে তা হলে আমি মারবই।’’
রাঁচীতে ছয় মারতে গিয়েই আউট হয়েছেন ঈশান। নইলে ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের প্রথম শতরান করতে পারতেন এই বাঁ হাতি ব্যাটার। তাতে কোনও আফসোস নেই ঈশানের। তিনি বলেন, ‘‘আমি এক-দু’রান নিয়ে শতরান পূর্ণ করতে পারতাম। কিন্তু আমি কোনও দিনই নিজের জন্য খেলি না। আমি দেশের কথা ভাবি। দেশের সমর্থকদের কথা ভাবি। আইপিএলেও আমি ৯৯ রানে আউট হয়েছি। তখন ২ বলে ৫ রান দরকার ছিল। আমি ইচ্ছা করলেই এক রান নিয়ে শতরান করতে পারতাম। কিন্তু আমি দলকে জেতানোর কথা ভেবেছি। এতে আমার কোনও আফসোস নেই।’’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দু’উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে শ্রেয়স আয়ারের সঙ্গে ঈশানের ১৬১ রানের জুটি দলকে জয়ের কাছে নিয়ে যায়। ৮৪ বলে ৯৩ রান করে আউট হন ঈশান। বিয়র্ন ফরচুনকে ছয় মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন তিনি। আউট হওয়ার পরে ক্রিজেই হাঁটু মুড়ে বসে পড়েন ঈশান। অবশ্য শতরান না পেলেও হতাশ নন ঈশান। তিনি জানিয়ে দিলেন, ভবিষ্যতেও এ ভাবেই খেলবেন তিনি।