ডিআরএস-এ ভুগলেন কোহলীরা। ছবি পিটিআই
ভারত বনাম নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় টেস্টে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে একাধিক নজির। অজাজ পটেলের ইনিংসে ১০ উইকেটই হোক বা রবিচন্দ্রন অশ্বিনের জোড়া রেকর্ড, সাফল্যের খতিয়ান কম নয়। তবে এর পাশাপাশি এই টেস্টের নেতিবাচক দিকও রয়েছে। তা হল, একাধিক ভুল আম্পায়ারিংয়ের সিদ্ধান্ত এবং ভারতের পরের পর ভুল ডিআরএস নেওয়া।
ইতিমধ্যেই বিরাট কোহলীর আউট নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কোহলীর ব্যাটে বল লেগেছে না লাগেনি, তা নিয়ে আম্পায়ারদের তুলোধনা করেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার থেকে সমর্থকরা। কিন্তু তাতেও আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ নির্ভুল হয়নি।
ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম বা ডিআরএস-এর এক সময় তীব্র বিরোধিতা করেছিল ভারত। কালক্রমে প্রযুক্তির সঙ্গে মানিয়ে নিতেই হয়েছে। ডিআরএস নেওয়াকে একসময় শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। অনেকেই তখন মজা করে ডিআরএস-কে ‘ধোনি রিভিউ সিস্টেম’ নামে ডাকতেন। কিন্তু বিরাট কোহলীর সাফল্য এ ক্ষেত্রে একেবারেই ভাল নয়। এর আগেও বার বার ভুল ডিআরএস নিয়েছেন তিনি। রবিবার দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন একাধিক বার দেখা গেল এই ঘটনা।
প্রথম, নিউজিল্যান্ড ইনিংসের পঞ্চম ওভারের ঘটনা। উমেশ যাদবের ফুল লেংথ বল গিয়ে লাগে উইল ইয়ংয়ের পায়ে। প্রথম দেখাতেই মনে হয়েছিল বল লেগ স্টাম্পের বাইরে। কিন্তু উমেশের চাপে ডিআরএস নেন কোহলী। বল ট্র্যাকিংয়ে সেটিই পরিষ্কার হয়ে যায়। প্রথম রিভিউ হারায় ভারত।
দ্বিতীয়, ১৯ ওভারের শেষ বল। ড্যারিল মিচেলের বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউয়ের আবেদন করেন অশ্বিন। আম্পায়ার অনিল চৌধুরি আঙুল তুলে দেন। কিন্তু এত দ্রুত রিভিউ চান মিচেল যে, আউট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ডিআরএস-এর সঙ্কেত দেখান আম্পায়ার। রিভিউয়ে দেখা যায়, বল খুব ভাল ভাবেই মিচেলের ব্যাটে লেগেছে।
তৃতীয়, ২৪তম ওভারের দ্বিতীয় বল। মনে করা হয়েছিল উমেশের বল মিচেলের ব্যাটে লেগেছে। উইকেটকিপার ঋদ্ধিমান সাহা বারবার বলেন, তিনি কিছু শুনতে পাননি। তবু তাঁকে অগ্রাহ্য করে রিভিউ নেন কোহলী। দেখা যায়, বল লেগেছে প্যাডে। ফের একটি রিভিউ খোয়ায় ভারত।
চতুর্থ, দু’টি রিভিউ খোয়ানোয় এতটাই চাপে ছিলেন কোহলী যে দু’ওভার পরেই ফের একটি ভুল সিদ্ধান্ত নেন। উমেশের ইনসুইং লাগে হেনরি নিকোলসের প্যাডে। কোহলী ভেবেছিলেন তা আগে ব্যাটে লেগেছে। পরে দেখা যায়, বলে-ব্যাটে কোনও সংযোগ হয়নি। ফলে রিভিউ নিলে নিশ্চিত একটি উইকেট পেত ভারত। সেই নিকোলস এখনও ক্রিজে রয়েছেন।