নাগপুরে শতরান করে অধিনায়ক হিসাবে নজির গড়লেন রোহিত। ছবি: আইসিসি।
ভারতীয় দলের নেতৃত্বের দায়িত্ব পাওয়া পর প্রথম টেস্ট শতরান করলেন রোহিত শর্মা। তাঁর ১২০ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসে ভর করেই নাগপুর টেস্টে লড়াই করল ভারত। টেস্ট ক্রিকেটে নবম শতরান করার পাশাপাশি নতুন নজির গড়লেন তিনি। ভাগ বসালেন বাবর আজ়ম, ফ্যাফ ডুল্পেসি, তিলকরত্নে দিলশানদের নজিরে। যে কৃতিত্ব নেই বিরাট কোহলি, মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদেরও।
লাল বলের ক্রিকেটে ঘরের মাঠে নবম শতরান করলেন রোহিত। একই সঙ্গে অধিনায়ক হিসাবে তিন ধরনের ক্রিকেটে শতরান করার নজির গড়লেন। এই নজির এর আগে ছিল বাবর, ডুপ্লেসি এবং দিলশানের। রোহিত বিশ্বের চতুর্থ এবং প্রথম ভারতীয় ব্যাটার হিসাবে এই নজির গড়লেন। ভারতীয় দলের অধিনায়ক হিসাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রোহিতের শতরানের সংখ্যা হল ছয়। দেশের অধিনায়ক হিসাবে এক দিনে ক্রিকেটে তিনটি এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দু’টি শতরান ছিল ৩৫ বছরের ক্রিকেটারের ঝুলিতে। নাগপুরে টেস্ট ক্রিকেটেও শতরান করে ফেললেন তিনি। তাতেই স্পর্শ করলেন বাবরদের নজির।
শুক্রবার নাগপুরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ওপেনার হিসাবে রোহিতের শতরানের সংখ্যা হল ৩৮টি। এই ক্ষেত্রে তাঁর আগে রয়েছেন শুধু সচিন তেন্ডুলকর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ওপেনার হিসাবে সচিন ৪৫টি শতরান করেছিলেন। রোহিত টেস্ট ক্রিকেটে ওপেনার হিসাবে ষষ্ঠ শতরান করলেন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে।
১৭১ বলে শতরান পূর্ণ করেন রোহিত। নাগপুর টেস্টে অভিষেক হওয়া অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার টড মারফিকে চার মেরে ১০০-য় পৌঁছান। ভারতের অন্য ব্যাটারদের ব্যর্থ হওয়ার দিনে রোহিত খেললেন অধিনায়কোচিত ইনিংস। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মাঠের বাইরে পাঠালেন একাধিক বার। ২১২ বলে ১২০ রান করলেন প্যাট কামিন্সের বলে আউট হওয়ার আগে। তাঁর ব্যাট থেকে এল ১৫টি চার এবং দু’টি ছক্কা। ওপেনার হিসাবে টেস্টে খেলা শুরু করার পর থেকেই পাল্টে গিয়েছে রোহিতের খেলা। অনেক বেশি আগ্রাসী ব্যাটিং করতে দেখা যায় তাঁকে। নাগপুরেও সে ভাবেই এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন নিজের ইনিংস।