(বাঁদিকে) রাহুল এবং সুদর্শন লড়লেন ভারতের হয়ে। ছবি: আইসিসি।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচে প্রত্যাশিত রান তুলতে পারল না ভারত। মঙ্গলবার টস জিতে লোকেশ রাহুলের দলকে প্রথমে ব্যাট করতে ডাকেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এডেন মার্করাম। কিন্তু সাই সুদর্শন এবং রাহুল ছাড়া ভারতের কেউই রান পেলেন না। ভারতের ইনিংস শেষ হল ৪৬.২ ওভারে ২১১ রানে।
শুরুতেই আউট হন রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৪)। তিন নম্বরে নামা তিলক বর্মাও রান পেলেন না। ৪৬ রানে ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর আর এক ওপেনার সুদর্শন জুটি বাঁধেন রাহুলের সঙ্গে। তৃতীয় উইকেটের জুটিতে তাঁরা যোগ করলেন ৬৮ রান। ৮৩ বলে ৬২ রান করলেন সুদর্শন। ৭টি চারের পাশাপাশি ১টি ছয় এল তাঁর ব্যাট থেকে। ক্রিকেটজীবনের প্রথম দু’টি আন্তর্জাতিক ম্যাচেই অর্ধশতরান করলেন তিনি। রাহুল খেললেন ৬৪ বলে ৫৬ রানের ইনিংস। ভারতীয় দলের অধিনায়কের ব্যাট থেকে এল ৭টি চার। প্রথম এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা রিঙ্কু সিংহও ভাল রান পেলেন না। ২টি চার এবং ১টি ছয়ের সাহায্যে কেকেআরের ব্যাটার করলেন ১৪ বলে ১৭ রান। আবার ব্যর্থ হলেন সঞ্জু স্যামসন (১২)। অক্ষর পটেল (৭), কুলদীপ যাদবেরাও (১) দলকে ভরসা দিতে পারলেন না। খানিকটা চেষ্টা করলেন আরশদীপ সিংহ। ১৭ বলে ১টি চার এবং ১টি ছয়ের মাধ্যমে ১৮ রান করলেন তরুণ জোরে বোলার। আবেশ খান করলেন ৯ রান। শেষ পর্যন্ত ৪ রানে অপরাজিত থাকেন বাংলার মুকেশ কুমার।
দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং আক্রমণের সামনে সুবিধা করতে পারলেন না ভারতীয় ব্যাটারেরা। শেষ দিকে পর পর উইকেট হারাল বিশ্বকাপ রানার্সেরা। ৪ উইকেটে ১৬৭ রান থেকে ভারতের ইনিংস শেষ হল ২১১ রান। ৫০ ওভারও ব্যাট করতে পারল না ভারতীয় দল। ভারতীয় ক্রিকেটারদের মন কি আইপিএল নিলামের দিকে ছিল? এই প্রশ্ন উঠতেই পারে একাধিক ক্রিকেটারের অবিবেচকের মতো শটের জন্য।
দক্ষিণ আফ্রিকার সফলতম বোলার নান্দ্রে বার্গার। তিনি ৩০ রানে ৩ উইকেট নিলেন। ৩৪ রানে ২ উইকেট বেউরান হেনড্রিকসের। ৫১ রানে ২ উইকেট পেলেন কেশব মহারাজ। ১টি করে উইকেট পেলেন লিজ়াড উইলিয়ামস এবং মার্করাম।