নেপালের বিরুদ্ধে ভাল খেললেন ভারত ‘এ’-র দুই ওপেনার (বাঁদিকে) অভিষেক এবং সুদর্শন। ছবি: বিসিসিআই।
এসিসি এমার্জিং কাপের ম্যাচে নেপালকে ৯ উইকেটে হারাল ভারত ‘এ’ দল। শ্রীলঙ্কায় আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় প্রথমে ব্যাট করে নেপাল ৩৯.২ ওভারে করে ১৬৭ রান। জবাবে ভারত ২২.১ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে করে ১৭২ রান। অন্য ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিকে ১৮৪ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। গ্রুপের দু’টি করে ম্যাচ জিতে প্রতিযোগিতার শেষ চারে চলে গেল ভারত এবং পাকিস্তান। ১৯ জুলাই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দু’দেশ। নেট রান রেটের বিচারে এখন শীর্ষে রয়েছে ভারত।
এক দিনের বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন প্রতিযোগিতায় খেলা দলকেই এসিসি এমার্জিং কাপ খেলতে পাঠিয়েছে নেপাল। সেই দল ভারতের ‘এ’ বা দ্বিতীয় দলের বোলিং আক্রমণও সামলাতে পারল না। নামে দ্বিতীয় দল হলেও যশ ঢুলের নেতৃত্বে মূলত তরুণ ক্রিকেটারদের শ্রীলঙ্কায় পাঠিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় নেপাল। অধিনায়ক রোহিত পায়োডেল সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেন। ৭টি চার মেরেছেন তিনি। এ ছাড়া বলার মতো রান করেছেন গুলশন ঝা। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৩৮ রান। তাঁর ৩০ বলের ইনিংসে রয়েছে ২টি চার এবং ২টি ছক্কা। আট নম্বরে নেমে তাঁর আগ্রাসী ইনিংসই নেপালকে কিছুটা লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দেয়।
ভারতের প্রায় সব বোলারই ভাল বল করলেন নেপালের বিরুদ্ধে। সফলতম নিশান্ত সিধু। ১৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। রাজ্যবর্ধন হাঙ্গারগেকর ২৫ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। ১৬ রানে ২ উইকেট কলকাতা নাইট রাইডার্সের হর্ষিত রানার। ৩১ রান দিয়ে ১ উইকেট মানব সুতার।
১৬৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৭.৫ ওভার বাকি থাকতেই জয় ছিনিয়ে নিল ভারত। ৬৯ বলে ৮৭ রানের ইনিংস খেললেন ওপেনার অভিষেক শর্মা। ১২টি চার এবং ২টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। ভারতের আর এক ওপেনার সাই সুদর্শন ৫২ বলে ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৮টি চার এবং ১টি ছয় মেরেছেন তিনি। তাঁদের প্রথম উইকেটের জুটিতেই ওঠে ১৩৯ রান। বাকি কাজ সারেন তিন নম্বরে নামা ধ্রুব জুরেল। ১টি চার এবং ২টি ছয়ের সাহায্যে ১২ বলে ২১ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেন ভারতের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। নেপালের কোনও বোলারই ভারতীয় ব্যাটারদের সমস্যায় ফেলতে পারেননি। এক মাত্র উইকেটটি নিয়েছেন অধিনায়ক রোহিত (২৫/১)।
সোমবার অন্য ম্যাচে পাকিস্তানের ‘এ’ হারাল সংযুক্ত আরব আমিরশাহির ‘এ’ দলকে। প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান করে ৩০৯ রান। জবাবে ২৯.৫ ওভারে ১২৫ রানে গুটিয়ে যায় আমিরশাহির ইনিংস। পাকিস্তানের স্পিনার কাসিম আক্রম ২৬ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়েছেন।