যশপ্রীত বুমরা এবং মহম্মদ শামি। —ফাইল চিত্র।
এক দিনের বিশ্বকাপের পিচ তৈরির নকশা করে দিল আইসিসি। ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হবে এক দিনের বিশ্বকাপ। এ বারের প্রতিযোগিতা আয়োজন করবে ভারত। মোট ১০টি মাঠে হবে সেই ম্যাচগুলি। আইসিসির নির্দেশ, পিচ বানাতে হবে ব্যাটিং সহায়ক।
বুধবার মুম্বইয়ে আইসিসির পিচ পরামর্শদাতা অ্যান্ডি অ্যাটকিনসন বোর্ডের পিচ কিউরেটরদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি এমন নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ভারত যাতে কোনও ভাবেই বাড়তি সুবিধা না পায়, সেই কথাও পিচ প্রস্তুতকারকদের বলেছে আইসিসি। সাধারণত ঘরের মাঠে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ় খেলা হলে পিচ নিজেদের মতো বানানোর সুবিধা থাকে সব দলের কাছে। কিন্তু বিশ্বকাপে সেটা যাতে কোনও দল না পায়, সেটা খেয়াল রাখার দায়িত্ব আইসিসির। সেই কারণেই কিউরেটরদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, কারও কথা শুনে পিচের ঘাস কাটা চলবে না। ওই বৈঠকে যোগ দেওয়া এক পিচ কিউরেটর বলেন, “আমাদের ব্যাটিং সহায়ক পিচ বানাতে বলা হয়েছে। তবে বোলারদের জন্য কিছুই থাকবে না এমন নয়। পিচ থেকে বোলারেরা হয়তো ৪০ শতাংশ সাহায্য পাবে, বাকি ৬০ শতাংশ ব্যাটারদের জন্য।”
এ বারের বিশ্বকাপের ম্যাচ রয়েছে আমদাবাদ, হায়দরাবাদ, ধর্মশালা, দিল্লি, চেন্নাই, হায়দরাবাদ, লখনউ, পুণে, মুম্বই এবং কলকাতায়। এর মধ্যে সেমিফাইনাল দু’টি হবে মুম্বই এবং কলকাতায়। ফাইনাল হবে আমদাবাদে। ভারত হায়দরাবাদ ছাড়া বাকি ন’টি মাঠেই গ্রুপ পর্বের ম্যাচ খেলবে। এর মধ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ রয়েছে আমদাবাদে। কলকাতায় খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। ভারতের প্রথম ম্যাচ চেন্নাইয়ে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলবে তারা। এই সব মাঠে ভারত যাতে বাড়তি কোনও সুবিধা না পায় সেই দিকেও নজর থাকবে আইসিসির।
বিশ্বকাপে বোলারদের থেকে ব্যাটারদের বাড়তি সুবিধা পাওয়ার কথা চিন্তা বাড়াতে পারে যশপ্রীত বুমরাদের। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে বুমরা ছাড়াও বিশ্বকাপে দেখা যেতে পারে মহম্মদ শামি, মহম্মদ সিরাজ, কুলদীপ যাদব, রবীন্দ্র জাডেজাদের। কিন্তু পিচ থেকে তাঁরা কোনও সাহায্য না পেলে মুশকিলে পড়তে হতে পারে দলকে। যদিও একই পিচে খেলতে হবে অন্য দেশগুলিকেও।