Hardik Pandya

পরিশ্রমের মাত্রা বাড়াও, তরুণদের বার্তা হার্দিকের

তরুণ ক্রিকেটারদের পরিশ্রমের মাত্রা বাড়াতে বলেছেন হার্দিক। তাঁর কথায়, ‘‘প্রত্যেকটি দিন নিজের সঙ্গে লড়াই করো। নিজেকে পরীক্ষার মধ্যে ফেলো।”

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২৪ ০৭:১৯
Share:

চর্চায়: বিতর্ক এড়িয়ে গেলেন হার্দিক। —ফাইল চিত্র।

একাধিক বার চোট পেয়ে ভারতীয় দল থেকে ছিটকে গিয়েছেন। ২০২৩-এর পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপও পুরোটা খেলতে পারেননি। কিন্তু বারবার তিনি দলে ফিরে এসেছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে শেষ ওভারে তাঁর হাতে বল তুলে দিতে দ্বিধাবোধ করেননি রোহিত শর্মা। ভারতকে জিতিয়ে স্বস্তি পেয়েছেন। তিনি হার্দিক পাণ্ড্য।

Advertisement

বর্তমানে তাঁর জীবনে ঝড় বয়ে গিয়েছে। নাতাশা সাঙ্কোভিচের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেছেন দু’দিন আগেই। ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্বও হয়তো হারতে চলেছেন। কিন্তু একটি অনুষ্ঠানে এ দিন হাসিমুখেই দেখা গেল হার্দিককে। আলোচনা করলেন ফিটনেস নিয়ে। উঠতি ক্রিকেটারদের বার্তাও দিয়ে গেলেন ভারতীয় অলরাউন্ডার।

হার্দিক বলেছেন, ‘‘ছোটবেলা থেকে আমি কখনও ট্রেনিংয়ে ফাঁকি দিতাম না। আমার ট্রেনার যদি বলতেন ১৫টি পুশ-আপ দিতে। আমি ২০টা দিতাম।’’ যোগ করেন, ‘‘আপনিও যদি ২০টি পুশ-আপ দেন, আমিও যদি ২০টি দিই, তা হলে আমাদের মধ্যে পার্থক্য কোথায়? এগিয়ে যেতে হলে আমাকে ৩০টা পুশ-আপ দিতে হবে। আমি সেটাই করতাম।’’

Advertisement

তরুণ ক্রিকেটারদের পরিশ্রমের মাত্রা বাড়াতে বলেছেন তিনি। হার্দিকের কথায়, ‘‘প্রত্যেকটি দিন নিজের সঙ্গে লড়াই করো। নিজেকে পরীক্ষার মধ্যে ফেলো। আমি আগে ১৩০-এর গতিতে বল করতাম। কিন্তু আমাকে ১৪০-১৪২এ নিজের গতি নিয়ে যেতে হয়েছে। তার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রাম করেছি। সকলে যদি এ ভাবে পরিশ্রম করতে পারে, তা হলে অবশ্যই উন্নতি হবে।’’

এ দিকে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে বোলিং শুরু করেছেন মহম্মদ শামি। আশা করা যাচ্ছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়ে ভারতীয় দলে ফিরতে দেখা যাবে তাঁকে। বেঙ্গালুরুতেই আপাতত অনুশীলন চলছে ভারতীয় পেসারের। সেই সঙ্গেই চলছে চোট থেকে সেরে ওঠার পদ্ধতি। তারই মাঝে এক পডকাস্টে শামি তুলে ধরেছেন ভারতীয় দলের সতীর্থদের সঙ্গে কাটানো কিছু মুহূর্তের কথা।

ভারতীয় দলের নেট প্র্যাক্টিসের সময় শামির বল খেলতে চান না রোহিত শর্মা। কিন্তু বিরাট কোহলিকে বারবার পরীক্ষায় ফেলেন ভারতীয় পেসার। শামি বলেছেন, ‘‘বিরাটের সঙ্গে সব সময় নেটে টক্কর চলে। ওকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিই। ও আমার বিরুদ্ধে ভাল শট খেলার চেষ্টা করে। আমি ওকে আউট করার চেষ্টা করি।’’ যোগ করেন, ‘‘বিরাটকে আগে থেকেই আমার ফিল্ডিং পজিশন বলে দিই। ধরুন, স্লিপে দু’জন আছে, গালিতে দু’জন আছে। ও সেটা ভেবে নেয়। সেই অনুযায়ী ব্যাট করে। এতে সুবিধেও হয়। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাট করা যায়। কিন্তু রোহিত যে আমার বিরুদ্ধে ব্যাট করতে চায় না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement