বিরাট কোহলি (বাঁ দিকে) এবং গৌতম গম্ভীর। — ফাইল চিত্র।
শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে এশিয়া কাপ জিতেছে ভারত। এ বার তাদের লক্ষ্য দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ জেতা। সেই প্রতিযোগিতার আগে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়। তার আগেই আচমকা আলোচনায় গৌতম গম্ভীর। তাঁর সঙ্গে বিরাট কোহলির ঠান্ডা লড়াই চলছেই। অনেকটা পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করার মতো। আইপিএলের প্রসঙ্গ টেনে এনে গম্ভীর কটাক্ষ করলেন কোহলিকে। রোহিত শর্মার ট্রফির সংখ্যা দিয়ে কোহলির সমালোচনা করেছেন তিনি।
পাঁচ বছর পর এশিয়া কাপ জিতেছে ভারত। রোহিত সেই দলের নেতা। রোহিতের প্রশংসা করতে গিয়ে গম্ভীর বলেছেন, “অধিনায়ক হিসাবে রোহিতের দক্ষতা নিয়ে কোনও প্রশ্নই থাকার কথা নয়। ও পাঁচটা আইপিএল ট্রফি জিতেছে। অনেকে তো এমনও রয়েছে, যারা একটাও আইপিএল জেতেনি।”
মুখে না বললেও তাঁর আক্রমণের লক্ষ্য যে কোহলি তা বোঝাই যাচ্ছে। দীর্ঘ দিন অধিনায়ক থাকলেও দলকে আইপিএল জেতাতে পারেননি কোহলি। এখন নেতৃত্বের ভার ফাফ ডুপ্লেসির হাতে। অন্য দিকে, রোহিতের নেতৃত্বে পাঁচ বার আইপিএল জিতেছে মুম্বই। অভিজ্ঞতার জন্যেই ভারতীয় দলের নেতৃত্বের ভারও পেয়েছেন। দেশের হয়ে টানা ক্রিকেটের মাঝে কেন আচমকা আইপিএলের প্রসঙ্গ টানলেন গম্ভীর, সেই প্রশ্ন উঠছে।
গত আইপিএলে কোহলি এবং গম্ভীরের মধ্যে একাধিক বার ঝামেলা হয়েছে। জরিমানাও হয়েছে গম্ভীর এবং তাঁর দল লখনউ সুপার জায়ান্টসের ক্রিকেটারের। তাতেও শিক্ষা নেননি গম্ভীর। নতুন করে ফের বিতর্ক বাড়ালেন তিনি।
এশিয়া কাপে কোহলি একটি শতরান করেছেন। রান পেয়েছেন রোহিতও। তবে ফাইনালে সব নজর একাই কেড়ে নিয়েছেন মহম্মদ সিরাজ। তাঁর ৬টি উইকেট ভারতকে শুধু ট্রফি জিততেই, একাধিক নজির তৈরি করেছে। বিশ্বকাপেও এই ছন্দ বজায় রাখবেন এমনই আশা রয়েছে সমর্থকদের।
প্রসঙ্গত, এশিয়া কাপ জয়ের পরেই রোহিতের চোখ বিশ্বকাপের দিকে। রোহিত বলেছেন, “এই প্রতিযোগিতা জেতার জন্য আমরা সব কিছু করেছি। এ বার ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ আর বিশ্বকাপই লক্ষ্য।” এশিয়া কাপের ফাইনালে যদিও ঝড় তোলেন মহম্মদ সিরাজ। একাই ৬ উইকেট তুলে নেন তিনি। শ্রীলঙ্কার ইনিংস শেষ হয়ে যায় মাত্র ৫০ রানে। এমন তৃপ্তির জয়ের পর রোহিত বলেন, “এই রকম ভাবে খেলতে পারলে ভাল লাগে। দলের চরিত্র বোঝা যায়। বল হাতে যে ভাবে শুরু করেছিলাম আমরা, সেই ভাবে ব্যাট হাতে শেষ করলাম।”
মহম্মদ সিরাজের সুইংয়ের দাপট দেখে এক সময় স্লিপে চার জনকে দাঁড় করিয়ে দেন রোহিত। তিনি বলেন, “স্লিপে দাঁড়িয়ে খেলা দেখছিলাম। আমাদের পেসারেরা যে ভাবে বল করেছে, তাতে আমি গর্বিত। প্রত্যেকে প্রচুর পরিশ্রম করে। ওদের চিন্তাভাবনা খুব পরিষ্কার। এমন খেলা দেখতে ভাল লাগে। অনেক দিন পর তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করলাম ম্যাচটা। এমন যে হবে সেটা ভাবিনি। সিরাজকে কৃতিত্ব দিতে হবে। যে ভাবে বল হাওয়ায় বাঁক খাওয়াচ্ছিল আবার পিচে পড়ার পরেও সুইং করছিল, তা খুব বেশি দেখা যায় না। সময়ের সঙ্গে আরও পরিণত হচ্ছে ও।”