রাহুল দ্রাবিড়। —ফাইল চিত্র।
রাজস্থান রয়্যালসের কোচ হতে চলেছেন রাহুল দ্রাবিড়। ২০২৫ সালের আইপিএলে রাজস্থানের প্রধান কোচ হতে চলেছেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী কোচ। এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই রাজস্থানের কোচ হিসাবে সই করেছেন দ্রাবিড়। যদিও দলের পক্ষ থেকে এখনও কোনও ঘোষণা করা হয়নি।
খেলোয়াড় হিসাবে রাজস্থানের হয়ে খেলেছিলেন দ্রাবিড়। সেই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। এ বার রাজস্থানের কোচের ভূমিকায় দেখা যেতে পারে তাঁকে। ২০১২ এবং ২০১৩ সালের আইপিএলে রাজস্থানের অধিনায়ক ছিলেন দ্রাবিড়। ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে রাজস্থানের মেন্টর হিসাবেও কাজ করেছিলেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, নিলামের আগে কোন কোন ক্রিকেটারকে ধরে রাখা হবে সেই নিয়েও রাজস্থানের পক্ষ থেকে আলোচনা করা হয়েছে দ্রাবিড়ের সঙ্গে। রাজস্থানের অধিনায়ক এখন সঞ্জু স্যামসন। দ্রাবিড় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ থাকার সময় থেকে সঞ্জুর সঙ্গে কাজ করছেন। অনেক বছর ধরেই তাঁরা একসঙ্গে কাজ করেছেন।
এ বারের আইপিএলের আগে দ্রাবিড়কে কোচ করার সঙ্গে আরও কিছু চমক দিতে চলেছে রাজস্থান। ব্যাটিং কোচ হিসাবে তারা আনতে পারে বিক্রম রাঠৌরকে। তিনি ভারতীয় দলের ব্যাটিং কোচ ছিলেন। তার আগে দ্রাবিড়ের সঙ্গে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে কাজ করেছেন রাঠৌর।
২০২১ সাল থেকে ভারতীয় দলের কোচ ছিলেন দ্রাবিড়। তাঁর প্রশিক্ষণে ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে, এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছে এবং বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলেছে। তার আগে অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন দ্রাবিড়। কোচ হিসাবে যথেষ্ট অভিজ্ঞ এবং সফল তিনি।
দ্রাবিড়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর ভাবনা ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সেরও। শোনা গিয়েছিল, মেন্টর গৌতম গম্ভীর ভারতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ায় দ্রাবিড়কে সেই জায়গা আনা হতে পারে। যদিও কেকেআরের কোচ হিসাবে চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত রয়েছেন।
রাজস্থান রয়্যালসের দায়িত্ব এত দিন ছিল কুমার সঙ্গকারার হাতে। ২০২১ সাল থেকে দলের ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট পদে রয়েছেন তিনি। সেই পদেই থাকবেন সঙ্গকারা। রয়্যালসের বাকি যে দু’টি দল রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ক্যারিবিয়ান টি-টোয়েন্টি লিগে, সেগুলির দায়িত্ব থাকবে সঙ্গকারার হাতে।
২০০৮ সালের পর আইপিএল জিততে পারেনি রাজস্থান। ২০২২ সালে ফাইনালে উঠলেও তারা হেরে যায় গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে। ২০২৩ সালে প্লে-অফেই উঠতে পারেনি রাজস্থান। এই বছর আইপিএলে প্লে-অফে উঠলেও দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার থেকে বিদায় নিতে হয় তাদের। আগামী বছর ভাল ফলের আশায় দ্রাবিড়ের হাতে দায়িত্ব দিতে চলেছে রাজস্থান।