Harbhajan Singh

বন্দি উদ্ধার হরভজনের, ওমান থেকে ২১ বছরের মেয়েকে উদ্ধার করে দেশে পাঠালেন ভাজ্জি

ওমান থেকে উদ্ধার ২১ বছরের বন্দি। তাঁকে উদ্ধার করার পিছনে বড় ভূমিকা নিলেন হরভজন সিংহ। মেয়েটিকে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২১:৩৯
Share:

হরভজন এখন শুধু প্রাক্তন ক্রিকেটার নন, তিনি রাজ্যসভার সাংসদও। —ফাইল চিত্র

বিদেশের মাটিতে বন্দি থাকা একটি মেয়েকে উদ্ধার করে দেশে পাঠালেন হরভজন সিংহ। ভারতের প্রাক্তন স্পিনার দুবাই গিয়েছেন। সেখানে এশিয়া কাপের খেলা চলছে। এর মাঝেই ২১ বছরের এক ভারতীয় মেয়েকে উদ্ধার করলেন হরভজন। তাঁকে ওমানে বন্দি করে রাখা হয়েছিল।

Advertisement

হরভজন এখন শুধু প্রাক্তন ক্রিকেটার নন, তিনি আম আদমি পার্টির তরফে মনোনীত হয়ে রাজ্যসভায় গিয়েছেন। ২১ বছরের কমলজিত কৌরকে নিষিদ্ধ ভাবে আটকে রাখা হয়েছিল। রেখে দেওয়া হয়েছিল তাঁর পাসপোর্ট এবং সিম কার্ড। ওমানের ভারতীয় দূতাবাসও তাঁকে উদ্ধার করতে সাহায্য করেছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে হরভজন বলেন, “ভারতীয় দূতাবাসের সাহায্য ছাড়া এটা সম্ভব হত না। সাহায্য করেছেন রাষ্ট্রদূত অমিত নারাং। আমি শুধু নিজের কাজটা করেছি। রাজ্যসভার একজন সদস্য হিসাবে এটা আমার কর্তব্য। ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে যে, মেয়েটি বাড়ি পৌঁছে গিয়েছে।”

কমলজিত বলেন, “আমার বাবা একজন দিনমজুর। আমরা তিন ভাইবোন। আমিই সবার বড়। বাবাকে সাহায্য করার জন্য কাজ খুঁজছিলাম। সেই সময় জগসির সিংহের সঙ্গে আলাপ হয়। তিনি আমাকে ওমানে এক হিন্দিভাষী পরিবারের বাড়িতে রান্নার কাজ করার কথা বলেছিলেন। গত মাসে সেই কারণে আমি মাস্কট বিমানবন্দরে গিয়েছিএলাম। কিন্তু পৌঁছেই বুঝতে পারি কিছু গণ্ডগোল রয়েছে। আমাকে জোর করে বোরখা পরিয়ে দেওয়া হয়। আরব ভাষা শেখানো হচ্ছিল। আমাকে একটা অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। কোনও বাড়িতে নয়।”

Advertisement

কমলজিত কোনও ভাবে একটি সিম জোগাড় করেন। বাড়িতে তাঁর অবস্থার কথা জানান। কমলজিতের বাবা সিকান্দর তখন যোগাযোগ করেন জগসিরের সঙ্গে। সেই ব্যক্তি হুমকি দেন আড়াই লক্ষ টাকা না দিলে পাসপোর্ট পাওয়া যাবে না। তখন সিকান্দর তাঁর এক ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন যিনি আম আদমি পার্টির নেতা। তাঁর সাহায্যেই হরভজনের কাছে পৌঁছন সিকান্দর। কমলজিত বলেন, “আমার এক কাকা পঞ্জাবের নতুন সাংসদ হরভজন সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। হরভজনকে ধন্যবাদ দিয়ে শেষ করতে পারব না। বিরাট সাহায্য করেছেন তিনি। ভারতীয় দূতাবাস থেকে আমার কাছে ফোন আসে। তাঁরাই আমাকে পাসপোর্ট দেয়।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement