সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং সচিন তেন্ডুলকর। —ফাইল চিত্র।
ভারতীয় দলে নতুন পুরস্কার চালু করা হয়েছে। প্রতি ম্যাচ শেষে দলের সেরা ফিল্ডারকে বেছে নেন টি দিলীপ। দলের ফিল্ডিং কোচ প্রতি বার নাম ঘোষণা করার সময় অভিনব উপায় বার করেন। শ্রীলঙ্কা ম্যাচের পরেও অন্যথা হয়নি। বৃহস্পতিবার সেরা ফিল্ডারের নাম ঘোষণা করানো হয় সচিন তেন্ডুলকরকে দিয়ে। যদিও তিনি সশরীরে সাজঘরে উপস্থিত ছিলেন না।
শ্রীলঙ্কা ম্যাচে ভারত মাত্র ১৯.৪ ওভার ফিল্ডিং করেছে। তার মধ্যেই বিপক্ষের ১০ উইকেট তুলে নেন মহম্মদ শামিরা। ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ প্রথমে তিন জনকে বেছে নেন সেরা ফিল্ডার হওয়ার দাবিদার হিসাবে। সেই তালিকায় ছিলেন লোকেশ রাহুল, রবীন্দ্র জাডেজা এবং শ্রেয়স আয়ার। এর পরেই ফিল্ডিং কোচ জানান যে, এক জন কিংবদন্তি ঘোষণা করবেন সেরা ফিল্ডারের নাম।
সাজঘরের টিভিতে তখনই দেখা যায় সচিনকে। মুম্বই তাঁর শহর। সচিনের ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়েতেই ছিল ভারতের ম্যাচ। সেই ম্যাচের সেরা ফিল্ডারের নাম ঘোষণা করার আগে সচিন বলেন, “ফিল্ডিং এমন একটা জিনিস, যা ক্রিকেটারেরা করে দলের জন্য। দলের প্রতি এক জনের দায়বদ্ধতা বোঝা যায় ফিল্ডিং দেখে। ২০০৩ বিশ্বকাপে (সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ভারতীয় দল রানার্স হয়েছিল) আমরা মাঠে নামার আগে একটা কাগজে সই করে নামতাম। সেখানে লেখা থাকত “আমি পারব, আমরা পারব।” এখন এই সেরা ফিল্ডার বেছে নেওয়া হচ্ছে। রোহিত আমাকে জানায় এই বিষয়টা। শ্রীলঙ্কা ম্যাচের সেরা ফিল্ডার শ্রেয়স।”
শ্রেয়সকে ‘সাইলেন্ট স্নাইপার’ বলেন দিলীপ। ভারতের ফিল্ডিং কোচ বলেন, “ও মাঠে খুব বেশি আওয়াজ করে না। কিন্তু চুপচাপ নিজের কাজটা করে দেয়। দলের সাইলেন্ট স্নাইপার ও।”