হতাশ হর্ষিত রানা। ছবি: রয়টার্স।
শুরুটা ভাল হল না কলকাতা নাইট রাইডার্সের। প্রথম ম্যাচে ঘরের মাঠে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে হারল তারা। শুরুতে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান করেছিল কেকেআর। সেই রান তাড়া করতে সমস্যা হল না বিরাট কোহলিদের। ২২ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে জিতলেন তাঁরা। কেকেআরের হারের পাঁচ কারণ খুঁজল আনন্দবাজার ডট কম।
কেকেআরের হারের পাঁচ কারণ:
১) প্রথম তিন ওভারে মাত্র ৯ রান— টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাওয়ার প্লে রান করার সেরা জায়গা। সেই সময় ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে মাত্র দু’জন ফিল্ডার থাকে। ফলে ব্যাটারেরা হাওয়ায় শট খেলতে পারেন। সেখানে প্রথম তিন ওভারে মাত্র ৯ রান করে কেকেআর। কুইন্টন ডি’ককের উইকেট হারায় তারা। পাওয়ার প্লে-র শুরুটা কাজে লাগাতে না পারায় ভুগতে হয় কলকাতাকে।
২) ব্যর্থ মিডল অর্ডার— বড় রান করতে গেলে যেমন শুরুটা ভাল করতে হয় তেমনই মাঝের ওভারেও রান করতে হয়। সেটা করতে পারল না কলকাতা। মিডল অর্ডারে বেঙ্কটেশ আয়ার ও রিঙ্কু সিংহের উপর বড় দায়িত্ব ছিল। বেঙ্কটেশ ৬ ও রিঙ্কু ১২ করে আউট হলেন। ফলে বড় রান করতে পারল না কেকেআর।
৩) শেষ ১০ ওভারে ৬৭ রানে ৭ উইকেট হারানো— প্রথম ১০ ওভারে ১০৭ রান করেছিল কেকেআর। দেখে মনে হচ্ছিল, ২০০-র বেশি রান হবে। কিন্তু শেষ ১০ ওভারে মাত্র ৬৭ রান হল। পড়ল ৭ উইকেট। ১৭৪ রানে শেষ হয়ে গেল ইনিংস। ইডেনের মাঠে প্রথমে ব্যাট করে ২০০ রান করতে না পারলে জেতা অসম্ভব। দ্বিতীয় ইনিংসে শিশির পড়ায় কেকেআরের বোলারদের কাজ আরও কঠিন হয়ে গেল।
৪) কোহলি-সল্টের ওপেনিং জুটি— রান তাড়া করতে নেমে বড় জুটি গড়লেন বিরাট কোহলি ও ফিল সল্ট। প্রথম বল থেকে ব্যাট চালানো শুরু করেন তাঁরা। কেকেআর যে কাজটা করতে পারেনি সেটাই করলেন বেঙ্গালুরুর দুই ব্যাটার। প্রথম তিন ওভারে ৩৭ রান করলেন তাঁরা। পাওয়ার প্লে-তে উঠল ৮০ রান। দুই ব্যাটার ৮.৩ ওভারে ৯৫ রান করলেন। দু’জনেই অর্ধশতরান করলেন। সেখানেই খেলা কেকেআরের হাত থেকে বেরিয়ে গেল।
৫) রাহানের খারাপ অধিনায়কত্ব— ১৭৪ রান বাঁচাতে গেলে বোলিংয়ের শুরুটা ভাল করতে হত কলকাতাকে। সেখানেই ভুল সিদ্ধান্ত নিলেন অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে। দলের প্রধান তিন বোলার হর্ষিত রানা, বরুণ চক্রবর্তী ও সুনীল নারাইনকে দিয়ে পাওয়ার প্লে-তে বোলিং করাতে হত তাঁকে। কারণ, উইকেট না নিলে এই ম্যাচ কোনও ভাবেই জেতা যেত না। সেখানে তিনি শুরু করলেন বৈভব অরোরা ও স্পেনসার জনসনকে দিয়ে। বৈভব প্রথম দু’ওভারে ৩২ রান দিলেন। জনসন দিলেন ২১ রান। সেই চার ওভার বেঙ্গালুরুকে জয়ের দিকে এগিয়ে দিল। পরে প্রধান বোলারদের এনেও কোনও লাভ হয়নি। রাহানের অধিনায়কত্বের অনেক ফাঁক দেখা গেল প্রথম ম্যাচেই।