(বাঁদিকে) জেসন গিলেসপি এবং শাহিন আফ্রিদি। ছবি: পিসিবি।
বাংলাদেশের কাছে টেস্ট ম্যাচ হেরে সমালোচনার মুখে পাকিস্তানের ক্রিকেটারেরা। শান মাসুদদের সাজঘরও অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল ম্যাচ শেষ হওয়ার পর। দলের জোরে বোলারদের ফিটনেস এবং ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। লজ্জার হারের দায় মূলত বোলারদের ঘাড়েই চাপানো হয় সাজঘরে।
বাংলাদেশের কাছে আগে কখনও টেস্ট ম্যাচ হারেনি পাকিস্তান। অথচ ঘরের মাঠে প্রথম ইনিংস ডিক্লেয়ার করেও ১০ উইকেটে হারতে হয়েছে। বাংলাদেশের ব্যাটারেরা প্রথম ইনিংসে তুলেছিলেন ৫৬৫ রান। উইকেট তুলতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে পাকিস্তানের বোলারদের। শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহেরা দলের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি।
পাকিস্তান দলের সঙ্গে যুক্ত একজন জানিয়েছেন, টেস্ট শেষ হওয়ার পর সাজঘরে ফিরে বৈঠকে বসেছিলেন কোচ জেসন গিলেসপি, অধিনায়ক মাসুদ এবং দলের সিনিয়র ক্রিকেটারেরা। সেই আলোচনায় দলের হারের জন্য দায়ী করা হয় বোলারদের ব্যর্থতাকে। বিশেষ করে দলের জোরে বোলারদের নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন টেস্ট দলের কোচ। শাহিন, নাসিমদের ফিটনেস এবং পারফরম্যান্স নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেছেন, ‘‘কোচ বোলারদের খেলায় শুধু হতাশ নন, কিছুটা বিরক্তও। তিনি বলেন, অধিকাংশ সময় বোলারেরা পিচের সঠিক জায়গায় বল ফেলতে পারেনি। বলের গতি দেখেও তিনি হতাশ। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের সময় পিচে হালকা ঘাস ছিল। সেই সুবিধাও কাজে পারেনি বোলারেরা। কাজে লাগানো যায়নি দ্বিতীয় নতুন বল। অনেক বল উইকেটরক্ষকের হাতে পৌঁছানোর আগেই মাটিতে পড়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে বোলারদের পারফরম্যান্সে একটুও খুশি নন কোচ।’’
দ্বিতীয় টেস্টের আগে বোলারদের ফিটনেসের দিকে নজর দেওয়ার কথা বলেছেন গিলেসপি। প্রথম টেস্টের পর সাজঘরে তিনি বোলারদের ডেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন। ৩০ অগস্ট থেকে শুরু হবে পাকিস্তান-বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্ট। এই ম্যাচটিও হবে রাওয়ালপিন্ডিতে।