এমবাপে কেন সেরা ফুটবলারের পুরস্কার জিততে পারবেন না, তা জানিয়েছেন মার্তিনেস। ফাইল ছবি।
বিশ্বকাপ ফাইনাল থেকে শুরু। কিলিয়ন এমবাপের সঙ্গে লড়াই থামছেই না এমিলিয়ানো মার্তিনেসের। আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক আবার কটাক্ষ করলেন ফ্রান্সের স্ট্রাইকারকে। মার্তিনেসের দাবি, লিয়োনেল মেসি অবসর না নেওয়া পর্যন্ত সেরা ফুটবলারের পুরস্কার কপালে নেই এমবাপের।
বিশ্বকাপ জেতার পর এমবাপেকে নানা ভাবে বিদ্রুপ করায় ফিফার নজরদারিতে রয়েছেন অ্যাস্টন ভিলার গোলরক্ষক। প্যারিস সঁ জরমঁতে মেসির সতীর্থের সঙ্গে মার্তিনেসের লড়াই থামার লক্ষণ নেই। বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার এমবাপে পাবেন না বলেই মন মার্তিনেসের। এখনও পর্যন্ত সাত বার ব্যালন ডি অঁর পেয়েছেন মেসি। এ বারও এই পুরস্কার জেতার অন্যতম দাবিদার তিনি। লড়াইয়ে আছেন এমবাপেও। তিনি এখনও এই পুরস্কার জিততে পারেননি। সেই প্রসঙ্গে মার্তিনেস বলেছেন, ‘‘আমি নিশ্চিত মেসি অবসর নেওয়ার পর এমবাপে একাধিক বার ব্যালন ডি অঁর জিতবে। ও দুর্দান্ত ফুটবলার। তবে মেসি অবসর না নেওয়া পর্যন্ত ওর এই পুরস্কার জেতার সম্ভাবনা নেই।’’
বিশ্বকাপ ফাইনালের পর এমবাপেকে বিদ্রুপ করলেও মার্তিনেসের দাবি, তাঁর সঙ্গে ফ্রান্সের স্ট্রাইকারের কোনও ব্যক্তিগত বিরোধ নেই। মার্তিনেস বলেছেন, ‘‘এমবাপের উপর আমার ব্যক্তিগত কোনও রাগ নেই। আমি ওকে শ্রদ্ধা করি। ফুটবলপ্রেমীরা ওর বা নেমারের নামে চিৎকার করলেও আমার আপত্তি নেই। কারণ ওরা বড় ফুটবলার। বিশ্বকাপ ফাইনালের পরেও এমবাপের কাছে গিয়েছিলাম। ওকে বলেছিলাম, তোমার বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ পাওয়াও আনন্দের। ম্যাচটা এমবাপে একাই প্রায় জিতিয়ে দিয়েছিল ফ্রান্সকে। এমবাপে ফুটবলের অসাধারণ প্রতিভা।’’
কাতার বিশ্বকাপে সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার পেয়েছিলেন মার্তিনেস। এমবাপে পেয়েছিলেন সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার। ফাইনালে ফ্রান্সের কয়েক জন ফুটবলারের আচরণে মেজাজ হারিয়েছিলেন মার্তিনেস। ঠান্ডা মাথায় খেলা শেষ করলেও পরে নিজেকে সংযত রাখতে পারেননি মেসির প্রিয় দিবু। তাঁর আপত্তি উড়িয়ে বিদ্রুপ করেছিলেন ফ্রান্সের খেলোয়াড়দের। দেশে ফিরে বিজয় মিছিলে এমবাপের ছবি নিয়ে তাঁকে বিদ্রুপ করেছিলেন তিনি।
বিশ্বকাপের সময় একাধিক আচরণের জন্য সমালোচিত হয়েছিলেন মার্তিনেস। তাঁর আচরণ ভাল ভাবে নেয়নি ফিফাও। এ বার এমবাপের প্রশংসা করেও নিজের দেশের অধিনায়ককেই ফুটবলার হিসাবে এগিয়ে রেখেছেন তিনি।