বিরাট কোহলি। —ফাইল চিত্র।
ডিসেম্বরের শুরুতে বিতর্কে জড়িয়েছিল বিরাট কোহলির মুম্বইয়ের জুহুর রেস্তরাঁ। এ বার আইনভঙ্গের অভিযোগ উঠল তাঁর দিল্লির রেস্তরাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগ কোহলির রেস্তরাঁয় গানের কপিরাইট আইন মানা হচ্ছে না। রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে দিল দিল্লি হাই কোর্ট।
কোহলি নিজে যতই নিয়ম মেনে চলুন, তাঁর রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বার বার উঠছে আইন না মানার অভিযোগ। কয়েক দিন আগে তাঁর দিল্লির ‘ওয়ান ৮ কমিউন’ রেস্তরাঁর ডিজে-তে কপিরাইট আইন ভেঙে গান বাজানোর অভিযোগ করে ফোনোগ্রাফিক পারফরম্যান্স লিমিটেড। অভিযোগকারী সংস্থাটি দ্বারস্থ হয়েছিল দিল্লি হাই কোর্টের। রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইন না মানার অভিযোগ মামলা করেছিল সংস্থাটি। অভিযোগ ছিল, অনুমতি না নিয়ে তাদের স্বত্ব রয়েছে এমন গান বাজানো হচ্ছে ‘ওয়ান ৮ কমিউন’ রেস্তরাঁয়। তাতে তাদের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ছিল মামলার প্রথম শুনানি। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি সি হরি শঙ্কর রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষকে ফোনোগ্রাফিক পারফরম্যান্স লিমিটেডের স্বত্ব থাকা গান বাজানো অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সংশ্লিষ্ট স্বত্বাধারী সংস্থার অনুমতি না নিয়ে গান ব্যবহার করা অনুচিত। কপিরাইট আইন মেনে চলার কথাও বলেছেন বিচারপতি শঙ্কর।
মাসের শুরুতে ভারতীয় পোশাক পরে জুহুতে কোহলির রেস্তরাঁয় খেতে গিয়ে বাধা পেয়েছিলেন এক ব্যক্তি। তামিলনাডুর ওই বাসিন্দা তাঁদের প্রথা মতো লুঙ্গির মতো করে ধুতি পরে গিয়েছিলেন। যা দক্ষিণ ভারতীয়দের ক্ষেত্রে অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং পরিচিত। কিন্তু তাঁকে রেস্তরাঁয় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বিনীত কে নামে ওই ব্যক্তি ‘ওয়ান ৮ কমিউন’ রেস্তরাঁর নিরাপত্তাকর্মীদের ব্যবহারে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ এবং অপমানিত। সমাজমাধ্যমে রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নীতিপুলিশির অভিযোগ করেছিলেন সেই কোহলি-ভক্ত। যে ঘটনা নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় ‘ওয়ান ৮ কমিউন’ কর্তৃপক্ষকে। এ বার আইন ভেঙে বিতর্কে কোহলির দিল্লির রেস্তরাঁও।