প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ। ছবি: বিসিসিআই।
গুজরাত টাইটান্সকে জয়ের জন্য ২০৪ রানের লক্ষ্য দিল দিল্লি ক্যাপিটালস। টস জিতে ঘরের মাঠে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন শুভমন গিল। অহমদাবাদের ২২ গজে প্রথমে ব্যাট করার সুবিধা কাজে লাগিয়ে ৮ উইকেটে ২০৩ রান তুলল। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর বোলিং সামলাতে পারলেন না দিল্লির ব্যাটারেরা। ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় খেলতে নেমে অসুস্থ বোধ করলেন ইশান্ত শর্মা। সুস্থ হয়ে পরে তিনি আবার বল করেন। ব্যাট করার সময় পায়ে টান ধরল অক্ষর পটেলেরও।
ওপেন করতে নেমে আগ্রাসী মেজাজে শুরু করছেন অভিষেক পোড়েল। দ্রুত রান তোলার পাশাপাশি বড় রান করার দিকে নজর দেওয়া দরকার বাংলার উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের। না পারলে আরও বড় মঞ্চে যাওয়ার লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়বেন। শনিবার ৯ বলে ১৮ রান করে আউট হলেন তিনি। দিল্লির অন্য ওপেনার করুণ নায়ার করলেন ১৮ বলে ৩১ রান। ২টি করে চার এবং ছয় মারলেন তিনি। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে রান তোলার গতি বৃদ্ধির চেষ্টা করেন লোকেশ রাহুল। ১৪ বলে ২৮ রান করলেন অভিজ্ঞ রাহুল। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৪টি চার এবং ১টি ছয়। প্রতিপক্ষের ঘরের মাঠে দলকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দিল চতুর্থ উইকেটে অক্ষর এবং ট্রিস্টান স্টাবস জুটি। দলের ইনিংসকে ২২ গজে থিতু করলেন তাঁরা। স্টাবস করলেন ২১ বলে ৩১ রান। মারলেন ২টি চার এবং ১টি ছয়। দিল্লি অধিনায়ক করলেন ৩২ বলে ৩৯ রান। আশুতোষ শর্মা করলেন ১৯ বলে ৩৭ রান। দিল্লির আর কেউ উল্লেখ করার মতো রান করতে পারেননি।
তবু দিল্লি প্রত্যাশিত রান করতে পারল না। বলা ভাল করতে দিলেন না প্রসিদ্ধ। নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে দিল্লির ইনিংসের চার বার আঘাত হানলেন তিনি। তাঁর জন্য অন্তত ২৫ রান কম হল দিল্লির। ৪১ রানে ৪ উইকেট নিলেন প্রসিদ্ধ। আর্শাদ খান ৪৬ রানে ১ উইকেট নিলেন। মহম্মদ সিরাজ ১ উইকেট নিলেন ৪৭ রান খরচ করে। ইশান্ত ১৯ রানে ১ উইকেট নিলেন। ৯ রানে ১ উইকেট সাই কিশোরের।