আশুতোষ শর্মা। ছবি: পিটিআই।
আশুতোষ শর্মাকে ৩ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা দিয়ে কিনেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। সোমবার তিনি বুঝিয়ে দিলেন কেন তাঁর মতো অনভিজ্ঞ একজন ক্রিকেটারকে নেওয়ার জন্য এত টাকা খরচ করেছিল দল। ৩১ বলে ৬৬ রান করে ম্যাচ জেতানোর পর আশুতোষ জানালেন যে, তিনি ঠিক করে রেখেছিলেন ছক্কা মেরেই ম্যাচ জেতাবেন।
এক উইকেটে ম্যাচ জেতে দিল্লি। গত আইপিএলে পঞ্জাব কিংসে ছিলেন আশুতোষ। এ বারের নিলামে তাঁকে কিনে নেয় দিল্লি। সোমবার ম্যাচ জিতিয়ে তিনি বলেন, “খুব শান্ত ছিলাম আমি। ঠিক করে রেখেছিলাম যে, ও (মোহিত শর্মা) যদি সিঙ্গল নেয়, তা হলে আমি ছক্কা মেরেই শেষ করব। সেই আত্মবিশ্বাস আমার ছিল। খেলাটা উপভোগ করছিলাম। আমার পরিশ্রম দাম পেল।”
২৬ বছরের আশুতোষের জন্ম মধ্যপ্রদেশে। এখন ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেন রেলওয়েজ়ের হয়ে। মধ্যপ্রদেশের হয়ে বয়সভিত্তিক ক্রিকেট খেলেছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে সিনিয়র দলের হয়ে খেলেছেন। আশুতোষ বলেন, “আমি নিজের ক্ষমতার উপর ভরসা রেখেছিলাম। খুব বেশি কিছু করার চেষ্টা করিনি। শেষ পর্যন্ত খেলাটা নিয়ে যেতে চাইছিলাম। শেষের দিকে দ্রুত রান তুলে ম্যাচ জেতানোর পরিকল্পনা ছিল। সেই কারণেই ২০তম ওভার অবধি খেলা নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম।”
আশুতোষ সোমবার ৩১টি বল খেলেছিলেন। এর মধ্যে প্রথম ২০টি বলে তিনি করেছিলেন ২০ রান। পরের ১১ বলে করেছিলেন ৪৬ রান। ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে রানের গতি বাড়িয়েছিলেন আশুতোষ। গত বারের আইপিএলেও একাধিক ম্যাচে পঞ্জাবের হয়ে এমন ইনিংস খেলতে দেখা গিয়েছিল আশুতোষকে। তিনি বলেন, “গত মরসুমের অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু শিখেছি। এই বছর সেগুলো প্রয়োগ করব। একই ভুল আমি দু’বার করতে চাই না। ঘরোয়া ক্রিকেটে যা শিখেছি, সেটাই এখানে করার চেষ্টা করছি।”
ম্যাচ শেষে দিল্লি ক্যাপিটালসের মেন্টর কেভিন পিটারসেন (কেপি) পিঠ চাপড়ে দেন আশুতোষের। ভারতীয় ব্যাটার বলেন, “কেপির মতো কিংবদন্তিকে সাজঘরে পাওয়া দারুণ ব্যাপার। আমি সব সময় ওর সঙ্গে ব্যাটিং নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করি। জেতার পর বলছিল যে, আমরা ম্যাচটা কত সহজে জিতেছি।”