রিঙ্কু সিংহকে (বাঁ দিকে) কুলদীপ যাদবের চড় মারার সেই মুহূর্ত। ছবি: সমাজমাধ্যম।
আইপিএলে আবার ফিরল চড়-কাণ্ড। মঙ্গলবার কলকাতা-দিল্লি ম্যাচের শেষে মাঠে কেকেআরের রিঙ্কু সিংহকে চড় মেরেছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের কুলদীপ যাদব। এই ঘটনা ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। কুলদীপ হয়তো মজার ছলেই রিঙ্কুকে চড় মেরেছিলেন। কিন্তু রিঙ্কু যে বিষয়টি ভাল ভাবে নেননি তা তাঁর চোখমুখ দেখেই পরিষ্কার।
আইপিএলে প্রতিটি ম্যাচের শেষে মাঠে দাঁড়িয়ে গল্প করেন দু’দলের ক্রিকেটারেরা। কখনও একই রাজ্যের ক্রিকেটারেরা একসঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকেন। আবার বিদেশি ক্রিকেটারেরাও নিজের দেশের সতীর্থদের সঙ্গে গল্পে মাতেন। শুধু ক্রিকেটারেরা নন, কোচ, সাপোর্ট স্টাফ এমনকি, দলের মালিকও আড্ডা দেন। দিল্লি-কলকাতা ম্যাচের পরেও সেই দৃশ্যই চোখে পড়েছে।
খেলা শেষে উত্তরপ্রদেশের ক্রিকেটারেরা এক জায়গায় দাঁড়িয়ে গল্প করছিলেন। সেখানেই ছিলেন রিঙ্কু ও কুলদীপ। তাঁরা দু’জনেই উত্তরপ্রদেশের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেন। ম্যাচ জেতায় রিঙ্কুর আনন্দ ছিল দেখার মতো। তিনি হাসছিলেন। হঠাৎই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কুলদীপ তাঁকে একটি চড় মারেন। কুলদীপকে দেখে মনে হয়েছে, মজার ছলেই সেটি করেছেন তিনি। রিঙ্কুকে হাসতে দেখেই হয়তো সেই কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু রিঙ্কু বিষয়টি ভাল ভাবে নেননি। আচমকা চড় খেয়ে তিনি প্রথমে বোঝার চেষ্টা করেন কেন কুলদীপ সেই কাজ করলেন। তাঁকে কিছু বলতে দেখা যায়। ঠিক তখনই আবার কেউ এক জন তাঁকে চড় মারতে যান। তাতে কিছুটা রেগে যান কেকেআরের ক্রিকেটার। দ্বিতীয় বার কে চড় মারতে গিয়েছিলেন তা অবশ্য ভিডিয়োয় দেখা যায়নি।
এই ঘটনায় ফিরেছে ২০০৮ সালের স্মৃতি। সে বার মুম্বই বনাম পঞ্জাব ম্যাচের শেষে পঞ্জাবের এস শ্রীসন্থকে চড় মারেন মুম্বইয়ের হরভজন সিংহ। মাঠেই কান্নায় ভেঙে পড়েন শ্রীসন্থ। তাঁকে সামলান যুবরাজ সিংহ। এই ঘটনার জন্য হরভজনকে নির্বাসিত করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে অনেক বার এই ঘটনার জন্য শ্রীসন্থের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন হরভজন। কুলদীপকে হয়তো তা করতে হবে না। কারণ, এখনও পর্যন্ত রিঙ্কু বা কেকেআর কর্তৃপক্ষ কেউ এই ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করেননি।
গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
দিল্লির বিরুদ্ধে জয়ে ফিরেছে কেকেআর। অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২০৪ রান করে কলকাতা। রহমানুল্লা গুরবাজ়, সুনীল নারাইন, অজিঙ্ক রাহানে, অঙ্গকৃশ রঘুবংশী ও রিঙ্কু প্রত্যেকে রান পেয়েছেন। জবাবে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রান করে দিল্লি। একটা সময় মনে হচ্ছিল তারা রান তাড়া করে জয় ছিনিয়ে নেবে। কিন্তু নারাইনের দু’টি ওভারে ৩ উইকেট খেলা ঘুরিয়ে দেয়। ফাফ ডু’প্লেসি দিল্লির হয়ে সর্বাধিক ৬২ রান করেন। ১৪ রানে জেতে কেকেআর।