মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। —ফাইল চিত্র।
আইপিএলের নিলামের আগে চিন্তায় চেন্নাই সুপার কিংস কর্তৃপক্ষ। চিন্তার কারণ মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) কত জন ক্রিকেটারকে ধরে রাখার অনুমতি দেবে, তার উপর নির্ভর করবে চেন্নাই কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত। বিসিসিআই দু’জন ক্রিকেটারকে ধরে রাখার অনুমতি দিলেও ধোনিকে ধরে রাখার পরিকল্পনা করে ফেলেছেন চেন্নাই কর্তৃপক্ষ।
আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলি রিটেনশন (কত জন ক্রিকেটারকে ধরে রাখা যাবে) নিয়ে মতামত জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআইকে। একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি আট জনকে ধরে রাখার প্রস্তাব দিয়েছে। একটি ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি আবার মাত্র এক জনকে ধরে রাখার প্রস্তাব দিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, বিসিসিআই পাঁচ বা ছ’জন ক্রিকেটারকে ধরে রাখার অনুমতি দিতে পারে ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলিকে। কিন্তু এই সংখ্যা যদি দুই হয়? তা হলেও ধোনিকে ধরে রাখতে মরিয়া চেন্নাই কর্তৃপক্ষ।
চেন্নাইয়ের প্রস্তাব আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া ক্রিকেটারদের রাখা হোক আন ক্যাপড (যাঁদের এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়নি) বিভাগে। একটা সময় আইপিএলে এই নিয়ম ছিল। পুরনো নিয়মকে ফিরিয়ে আনার দাবি তুলেছেন চেন্নাই কর্তৃপক্ষ। বিসিসিআই এই প্রস্তাব মেনে নিলে ধোনিকে অনেক কম টাকায় রেখএ দিতে পারবেন তাঁরা।
বোর্ড সূত্রে খবর, সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে ক্রিকেটার ধরে রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানানো হতে পারে। বোর্ড কর্তারাও চান আরও এক বছর আইপিএল খেলুন ধোনি। আইপিএলের স্বার্থেই ধোনিকে চান তাঁরা। তাই চেন্নাইয়ের প্রস্তাব মেনে নেওয়া হতে পারে। কারণ, ধোনিকে নিলামে তোলা হলে তাঁর আইপিএল ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। তিন বছরের জন্য ৪২ বছরের ধোনিকে মোটা টাকা কিনতে আগ্রহী নাও হতে পারে ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলি।
চেন্নাই কর্তৃপক্ষ অবশ্য ধোনিকে ধরে রাখতে যে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত। বিসিসিআই যদি দু’জন ক্রিকেটারকে ধরে রাখার অনুমতি দেয়, তা হলেও আগামী আইপিএলে ধোনি খেলবেন চেন্নাইয়ের হলুদ জার্সি পরেই। দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসাবে তাঁকে ধরে রাখা হবে। খরচ নিয়ে ভাবছেন না তাঁরা। তবে চেন্নাই কর্তৃপক্ষের আশা, বিসিসিআই এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না, যাতে ধোনিকে ধরে রাখতে তাঁদের সমস্যা হয়। না হলেও ধোনির জন্য যত দূর যাওয়া দরকার, তত দূরই যাবেন তাঁরা।